সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৫ মে : পঞ্চায়েত সদস্য,গ্রামবাসীদের অন্ধকারে রেখে বন দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে । সাহেবগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোলদা গ্রাম সংলগ্ন ক্যানেলে চকচকে পুল থেকে ভেটাগোর পর্যন্ত ৫০ টিরও বেশী, সোনাঝুরি, শিশু ও তাল গাছ ছিল বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা । ঘোলদা গ্রামের মানুষজন তার রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। বর্তমানে ক্যানেল সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানকে গাছ কেটে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সেচ দপ্তর । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘোলদা গ্রাম সদস্য ও গ্রামবাসীদের অজান্তেই সেই বিক্রি করা হচ্ছিল । খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা গাছের গুঁড়ি বোঝাই ২ টি ট্রাক্টর আটক করে রাখে । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হারাধন বলেন, ‘দিন ১৫ আগে পঞ্চায়েত প্রধান গাছ কাটার জন্য বলেছিলেন। ঈদ উৎসবের পর গ্রামের মানুষ জনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রধানকে জানান হয় ।’ তার দাবি কোন আলোচনা ছাড়াই বুধবার সেই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। কত টাকার টেন্ডার হয়েছে বা টেন্ডার আদৌ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তার জানা নেই। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ । তার দাবি,’গ্ৰাম সদস্যের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে। ক্যানেল সংস্কারের জন্য ক্যানেল কর্তৃপক্ষ বারবার চাপ দেওয়ায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে ।’ তবে বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল সে কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
গ্রামবাসী শেখ রজব আলী ও শেখ ফজলুল হক দের দাবি,’দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। গ্রামবাসীরা চাইছেন গাছ বিক্রির একাংশের টাকা গ্রামের উন্নয়ন খাতে কাজে লাগানো হোক। গ্রাম সদস্য ও গ্রামের মানুষের অজান্তে গাছ বিক্রির জন্য কাটা গাছের গুঁড়ি বোঝাই দুটি ট্রাকটি আটক করেছে গ্রামবাসীরা ।’ অবৈধভাবে গাছ বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন তারা । ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ।।