প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ এপ্রিল : মাথার হাতুড়ির বাড়ি মেরে পেট্রোল পাম্পে কর্মরত স্ত্রীকে জখম করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে ।মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাণ্ডুয়া মোড়ের একটি পেট্রোল পাম্পে।ঘটনার পরেই পাম্পের কর্মীরা বধূ পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী সমীর চট্টোপাধ্যায়কে ধরে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পরে দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাষপাতালে।বধূ পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে সমীর চট্টোপাধ্যায়ের আপাতত ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে।
বধূ পূর্ণিমাদেবী জানিয়েছেন , তাঁর স্বামী সমীর চট্টোপাধ্যায় দিনরাত নেশাই ডুবে থাকেন। সংসার চালানোর জন্য টাকা পয়সা কিছুই দেন না।তা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই সমীর তুমুল অশান্তি করে। সেই সবের কারণে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়ে তিনি একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করছিলেন। পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায় বলেন ,শ্বুশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে এসে পেট্রেল পাম্পে কাজ করার অপরাধে আমার স্বামী পাম্পে চড়াও হয়ে আমার মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। পাম্পের সহ কর্মীরা রক্তাত অবস্থায় আমায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ।
বধূর স্বামী সমীর পাল্টা অভিযোগে বলেন,’আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে সংসার করবেনা । তাই পালিয়ে এসেছে। আগে আমার স্ত্রী আমার উপর হামলা করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।এদিন স্ত্রীর ঘারে মারতে গিয়ে ছিলাম মাথায় লেগে গিয়েছে ।’ কালনা থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করছে গোটা বিষয়টি নিয়ে। এক অফিসার বলেন, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ।।