প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ মে : মার্কিন মুলুকের ’মলোকাই চ্যালেন’ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়ে গেছে।এবার বাংলার খ্যাতিমান সাতারু সায়নী দাসের লক্ষ্য নিউজিল্যাণ্ডের ’কুক স্ট্রেইট চ্যানেল’ জয় করা ।সুদূর মার্কিন মুলুকে বসেই নিজের এই লক্ষ্য ও স্বপ্নের কথা রবিবার জানালেন সদ্য ’মলোকাই চ্যালেন’ জয় করা সায়নী দাস।মনের গভীরে সপ্তসিন্ধু জয়ের ইচ্ছা জাগার কথাও শুনিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দা সায়নী। মেয়ের এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষেও অগ্রণী ভূমিকায় থাকতে চান সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম দাস ও মা রুপালিদেবী ।
রটনেস্ট ,ক্যাটলিনা ও ইংলিশ চ্যানেল জয়ের পর মাত্র দু’দিন আগেই সায়নী দাস জয় করেছেন মার্কিন মুলুকের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল।১৯ ঘন্টার বেশী সময় সাঁতরে মলোকই চ্যানেল জয় করার কাহিনী বলার সময়েই সায়নী জানান ,এবার “নিউজিল্যাণ্ডের কুক ষ্ট্রেইট“ জয় করাই তাঁর লক্ষ্য ও স্বপ্ন । মনে সপ্তসিন্ধ জয়ের ইচ্ছা থাকার কথাও সায়নী শুনিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময়ে সায়নী জানান ,’সপ্তসিন্ধু জয়ের ব্যাপারে তাঁর আদর্শ হলেন মহারাষ্ট্রের সাঁতারু রোহন মোড়ে ।সায়নীর কথায়,এই রোহন মোড়ে-ই গোটা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একমাত্র সাতারু যিনি সপ্তসিন্ধু জয় করেছেন’ ।
সায়নী এদিন এও জানান,’৩ মে কালান বাড়িতে ফিরেই তিনি প্রথম ’কুক ষ্ট্রেইট’ চ্যানেল জয়ের লক্ষে প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন।কারণ ,তার জন্যই ১৯১৯ সালে তিনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষর কাছে আবেদনও করে রেখেছেন ।সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়ে গেলেই সপ্তসিন্ধু জয়ের লক্ষে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া শুরু করে দেবেন বলে সায়নী জানান“ “।সপ্তসিন্ধু নিয়ে কথা বলার সময়ে সায়নী বলেন ,“ওয়ার্ল্ড ওপেন ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালনায় যারা সাতটি চ্যানেল পার হতে পারেন তাঁরাই সপ্তসিন্ধু জয়ের শিরোপা পান।সপ্তসিন্ধুর মধ্যে রয়েছে ইংলিশ,ক্যাটলিনা,
মলোকাই,সুগারু,জিব্রাল্টার,কুক ষ্ট্রেইট ও নর্থ চ্যানেল।সায়নী দাবী করেন, এর মধ্যে ক্যাটলিনা ও ইংলিশ চ্যানেল আগেই তিনি জয় করে ফেলেছেন।আর দু’দিন আগেই মলোকই চ্যানেল জয় সম্পূর্ণ করেছেন । সপ্তসিন্ধুর মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম হল মালোকাই।যা পেরোতে তাঁর ১৯ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় লেগেছে বলে সায়নী জানান ।একই সঙ্গে সপ্তসিন্ধু জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সায়নী বলেন, সপ্তসিন্ধুর মধ্যে আরও চারটি চ্যানেল জয়করা তাঁর বাকি রয়েছে।সেইসব চ্যানেল জয়ের পর গর্বের সাথে সেখানই তিনি ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরতে চান । তবে এখন তাঁর প্রথম লক্ষ নিউজিল্যান্ডের ’কুক স্ট্রেইট চ্যানেল’।
রাধেশ্যামবাবু জানিয়েছেন,আর্থিক প্রতিকুলতা বা সমস্যা যাই আসুক না কেন মেয়ে সায়নীর সমস্ত স্বপ্ন পূরণে তিনি ও তার স্ত্রী রুপালির সাথী হতে চান ।দেশের সমস্ত ক্রীড়া প্রেমী মহিলারা আগামী দিনেও সায়নীর পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশার কথা এদিনও রাধ্যশ্যামবাবুর বক্তব্যে উঠে এসেছে ।।