এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোয়ালিয়র,২৬ এপ্রিল : লাভ জিহাদের একটা চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র থেকে । অভিযোগ, পরিচয় গোপন রেখে হিন্দু তরুনীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে হিন্দুমতে বিয়ের পর বাড়িতে তুলেছিল ইমরান খান নামে এক যুবক । পরে তরুনীকে ফের ইসলাম ধর্মমতে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় । আর তারপর থেকে শুরু হয় তরুনীর উপর নারকীয় অত্যাচার । ইমরান, তার দুই ভাই,বিয়ে দিতে আসা আলেম এবং ইমরানের এক ভগ্নীপতি লাগাতার তাঁকে ধর্ষণ করতে থাকে বলে অভিযোগ । এর ফলে দু’বার গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই তরুনী । আর দু’বারই তাঁর গর্ভপাত করিয়ে দেয় ইমরানের মা সুগা বেগম । তারপর নির্যাতিতা তরুনী কোনওভাবে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে এসে থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রজু করে । গোয়ালিয়রের এসপি অমিত সাংঘি জানিয়েছেন, মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । অভিযুক্তরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ । এদিকে অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার ।
একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,পুলিশের কাছে নির্যাতিতা তরুনী অভিযোগে জানান ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জঙ্গিপুরা ডাবরা মাদ্রাসার কাছে ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় হয় । সে নিজেকে রাজু জাটভ বলে পরিচয় দেয় । এরপর ওই বছর ১৫ জুন তাঁকে গোয়ালিয়রে নিয়ে গিয়ে প্রেমের নামে ধর্ষণ করে রাজু । এর মধ্যে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অভিযুক্ত ইমরানের মা সুগা বেগম তাঁকে গর্ভপাত করিয়ে দেন ।
তরুনী জানান,গর্ভপাতের পর থেকে শুরু হয় ইমরান ও তার পরিবারের চক্রান্ত । আর তারই অঙ্গ হিসাবে গত ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর গোয়ালিয়রের শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি একটি হোটেলে হিন্দু রীতি মেনে তাঁকে বিয়ে করে ইমরান । আর বিয়ের পর থেকেই ইমরান খান আর তার দুই ভাই পুন্নি ও আমান খান মিলে তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেতে শুরু করে । বিষয়টি ইমরানের মা সুগা বেগমকে জানালে তিনি এনিয়ে মস্করা করে সব এড়িয়ে যান । দিন কয়েক পর মাওলানা ওসামা খান বাড়িতে এসে জানায় হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে তাদের ধর্মে বৈধ নয় । তাই ফের তাকে মুসলিম রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে হবে ৷ কথামত তিনি ফের মুসলিম রীতিতে বিয়েও করেন ।
নির্যাতিতা তরুনীর অভিযোগ, বিয়ের পর মাওলানা ওসামা খানও তাকে ধর্ষণ করে । আর সেই সময় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল তার স্বামী ইমরান । এভাবে লাগাতার ধর্ষণের ফলে ফের তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েন । সেই কারনে একদিন শাশুড়ি ইচ্ছা করে তাকে সিঁড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন, যার কারণে তাঁর গর্ভপাত হয়ে যায় ।
জানা গেছে,এভাবে লাগাতার ধর্ষণ চললেও তাঁকে ঘরে আটকে রাখায় পালাতে পারেননি ওই তরুনী । কিন্তু গত ২০ এপ্রিল ইমরান খানের জামাইবাবু পুন্নি খান রুমে এসে ধর্ষণের পর ঘরের দরজা খোলা রেখে চলে যাওয়ায় সেই সুযোগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তরুনী । পালিয়ে তিনি বোনের বাড়িতে যান । ঘটনার কথা সব খুলে বলেন বোনকে । তারপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার কথা সবিস্তারে জানান ওই তরুনী । এরপর ইমরান খান ওরফে রাজু জাটব, তার মা সুগা বেগম, দুই দেবর আমান ও পুন্নি এবং মাওলানা ওসামা খানসহ অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ,শ্লীলতাহানি,পনবন্দি করে রাখাসহ একাধিক ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রজু করে পুলিশ ।পরে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নির্দেশে মূল অভিযুক্ত ইমরান খানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ ।।