প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ এপ্রিল : ’সিন্ডিকেটে’র বাধায় পূর্ব বর্ধমানের ৫২টি ট্রাক দুর্গাপুরের সগরডাঙার এফসিআইয়ের গুদাম থেকে রেশনের গম ট্রাকে তুলতে পারল না । এই ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত পূর্ব বর্ধমানের এমআর ডিস্ট্রিবিউশন । বিষয়টি নিয়ে তারা শনিবার দুপুরে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় ও খাদ্য দফতরকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন । এম আর ডিস্ট্রিবিউশনের অভিযোগ দুর্গাপুরের ট্রাক মালিকদের ‘সিন্ডিকেটে’র বাধায় পূর্ব বর্ধমানের প্রায় ৫২ টি ট্রাক এফসিআইয়ের গুদাম পর্যন্ত যেতে পারে নি । অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই এখন তাকিয়ে পূর্ব বর্ধমানের এমআর ডিস্ট্রিবিউশন ।
এমআর ডিস্ট্রিবিউটর সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে ,এক-একটি ট্রাকে ১২০ কুইন্টাল গম থাকে। প্রতি মাসে পূর্ব বর্ধমান থেকে ২৫০টির মতো ট্রাক দুর্গাপুরের সগরডাঙার এফসিআই গুদামে যায়।সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আব্দুল মালেক অভিযোগ জানিয়েছে, “এদিন সগরডাঙার এফসিআইয়ের গুদামে ৬৩টি ট্রাক আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল।ডিস্ট্রিবিউটরদের ওই ট্রাকেই গম নিয়ে যেতে হবে বলে বাধ্য করা হচ্ছিল। তা মনতে না চাইলে পূর্ব বর্ধমানের ৫২টি ট্রাকে গম লোড করতে বাধা দেওয়া হয় । বাধা পেয়ে ট্রাক গুলি খালি অবস্থায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। এরজন্য অহেতুক গাড়ির ভাড়াও গুনতে হয়।পরিস্থিতির বদল না হলে পূর্ব বর্ধমানের আর কোন ট্রাক ওই গুদাম থেকে খাদ্য সামগ্রী আনতে যাবে না এমনটাই ঠিক হয়েছে। আব্দুল মালেক এও বলেন,এদিনের ঘটনা বিষয়টি সংগঠনের তরফে সবস্তরেই জানানো হয়েছে ।’ জেলা খাদ্য নিয়ামক কেএমআর ডিস্ট্রিবিউশনের জেলা সম্পাদক কিরণশঙ্কর মণ্ডল লিখিতভাবে জানিয়েছেন,’ট্রাক-সিন্ডিকেটরা গুদামের প্রবেশ পথেই জোর করে আমাদের ট্রাকগুলিকে আটকে দেয়। রেশনের গম তুলতে গেলে অনেক বেশী ভাড়ায় তাঁদের সিন্ডিকেটের ট্রাক নেওয়ার চাপ দেওয়া হয়। বিষয়টি সেখানকার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি ।’
এম আর ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে এমন অভিযোগ পেয়েই নড়ে চড়ে বসেন প্রশাসনি কর্তারা । রাতে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ডিস্ট্রিবিউটরদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে এ দিনই আইএনটিটিইসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত ভট্টাচার্য, মন্ত্রী মলয় ঘটক, প্রদীপ মজুমদারদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই এই ধরনের অভিযোগ যাতে না আসে সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। প্রদীপ মজুমদার বলেন, “ডিস্ট্রিবিউটর ও খাদ্য দফতর থেকে বিষয়টি জানার পরেই প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।“জেলার খাদ্য নিয়ামক অসীম নন্দী বলেন, “বিষয়টি দেখার জন্যে পশ্চিম বর্ধমানের খাদ্য নিয়ামক কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দফতরের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে ।’।