এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২৪ এপ্রিল : বাঁকুড়ায় আদিবাসী কিশোরীকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল ৪ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে । রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার আমডাংরা জঙ্গলে । দুষ্কৃতীরা ওই কিশোরীকে জোর করে ওষুধ খাওয়ানোরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ । কিন্তু মেয়েটি কোনো রকমে তাদের হাত ফসকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় । তারপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে । কিশোরীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে । রাজ্য জুড়ে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনার মাঝেই এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । এই ঘটনার পিছনে পারিবারিক বিবাদ নাকি দুষ্কৃতীদের কোনও কুমতলব ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার তালডাংরা থানার শিমুলডাঙ্গা গ্রামে বাড়ি ওই কিশোরীর । সে স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী । প্রতিদিনের মত এদিন সকালেও সাইকেলে চড়ে সাবড়াকোন এলাকায় কম্পিউটার শিখতে যাচ্ছিল মেয়েটি । কিন্তু সে আমডাংরার জঙ্গলের রাস্তায় আসতেই চারজন দুষ্কৃতী তার পথ আটকায় । তাকে জোর করে জঙ্গলের মধ্যে টেনে নিয়ে যায় । মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে ব্যপক মারধর করা হয় । দুষ্কৃতীরা তাকে জোর করে কোনও ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে । সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি । তাঁরা মেয়েটির চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যেতেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা ।
জানা গেছে,এরপর ওই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মেয়েটির পরিবারের লোকজন । তাঁরা কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে আমডাংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় । কিন্তু মাথায় আঘাত লাগায় কিশোরীকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । ছাত্রীর মাথার পাশাপাশি ডান দিকে ও বাম দিকের পায়েও আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে । যদিও দুপুর পর্যন্ত এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।।