সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ এপ্রিল : অন্ধ্রপ্রদেশে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক যুবকের । পেশায় লরিচালক শেখ সাদ্দাম (৩০) নামে ওই যুবকের বাড়ি ভাতার থানার ওড়গ্রামের হাফেজপাড়ায় । ওই লরির খালাসি শেখ রাহুলের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন পরিবারের লোকজন । ওড়গ্রামেই বাড়ি রাহুলের । সাদ্দামের মৃত্যুর কারন নিয়ে সে দু’বার ফোন করে দু’রকম কথা বলে বলে অভিযোগ । পরিবারের সন্দেহ খুন করা হয়েছে সাদ্দামকে । ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে,ওড়গ্রাম হাফেজপাড়ার বাসিন্দা শেখ মোস্তাফার তিন ছেলের মধ্যে বড় শেখ সাদ্দাম । বছর সাতেক ধরে কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর লরি চালাচ্ছিলেন তিনি । তিন বছর আগে টগরী বিবির সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । তাঁদের দেড়বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে । মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে লরিতে চাল বোঝাই করে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন সাদ্দাম । সঙ্গে ছিলেন খালাসি শেখ রাহুল ।
মৃত যুবকের ভাই শেখ রাজেশ বলেন,’বৃহস্পতিবার সকালের দিক ফোন করে বলে রাহুল বলে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর এলাকায় ত্রিপতি পাহাড়ের কাছে তাদের লরি দূর্ঘটনার কবলে পড়েছিল । দূর্ঘটনায় আমার দাদা সাদ্দাম মারা গেছে আর ওর দু’পায়ে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে । এর ঠিক ঘন্টাখানেক পর ফের ফোন করে রাহুল বলে লরিটি চলন্ত অবস্থায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি পাথর ছুড়েছিল । তাতেই নাকি আমার দাদার মৃত্যু হয়েছে । তবে রাহুলের কিছু হয়নি ৷ সে সুস্থই আছে বলে জানায় ।’ রাজেশ বলেন,’আধ ঘন্টার ব্যবধানে দু’রকম কথা বলায় আমাদের সন্দেহের সৃষ্টি হয় । তারপর রাহুল দাদার মৃতদেহের কয়েকটি ছবি হোয়াটসআ্যপে পাঠালে বুঝতে দাদার মৃত্যু দূর্ঘটনায় হয়নি । আমাদের সন্দেহ খুন করা হয়েছে আমার দাদাকে ।’
জানা গেছে,শেখ সাদ্দামের মৃত্যুর খবর পেতেই অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পরিবারের লোকজন । মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর পর দেহটি বাড়ি আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে । এদিকে ঈদের আগেই মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা ।।