এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝালদা(পুরুলিয়া),১৮ এপ্রিল :’তপন কান্দুর মৃত্যুর সঙ্গে ঝালদার আইসি থেকে শুরু করে পুলিশের উপরতলার সকলেই জড়িয়ে আছে । তাই যে গুলি করল শুধু তাকে ধরলেই হবে না । সুপারি কিলারকে ভাড়া করল কে? টাকা মেটালো কে ? এখানকার আইসি কার কথাতে ঝালদার পুরবোর্ডে টিএমসিকে জিতিয়ে দিয়েছে ? তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে’ – রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু এবং তপন কান্দু হত্যার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করতে গিয়ে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো, জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গাসহ জেলার বিজেপি নেতৃত্ব । নিহতদের পরিবারকে দলীয়ভাবে কিছু আর্থিক সাহায্যও করা হয় । ওই দিন প্রথমে ঝালদা শহরের নামোপাড়া থেকে মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী । তারপর স্টেশন একটি জমায়েতে যোগ দেন তিনি । এরপরই তপন কান্দু ও নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়ির উদ্দেশ্যে তিনি পা বাড়ান । শুভেন্দু বলেন,’নিরঞ্জন বাবুর সহধর্মিণী সরাসরি ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। দুটি কেসেই মহামান্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। আমরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দোষীদের নাম মানুষের সামনে আসবে । দুটি শোকসন্তপ্ত পরিবাররের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি ।’
তিনি বলেন, ‘আগেই আসতে পারতাম । কিন্তু কেউ কেউ ভাবতেন নির্বাচনে ফায়দা তোলার জন্য তপন কান্দুর পরিবারের কাছে এসেছে । সেই জন্য কাল গননা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আজ এলাম । আর পরিবারের লোকজন চাইছিলেন আমি ওনাদের বাড়িতে যাই । তপনবাবুর ভাইপো আমায় ঝালদা আসার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছিলেন । তাই ছুটে এলাম ।’
শুভেন্দু বলেন,’পুলিশি অত্যাচারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন নিরঞ্জন বৈষ্ণব । এই জন্য সিবিআই তদন্ত হচ্ছে । আর সেই কারনে সুইসাইড নোটটা পুলিশ নিয়ে গেছে । মোবাইলটা নস্ট করে দিয়েছে । কোন রাজ্যে আমরা আছি ? এ তো উত্তর কোরিয়ার থেকেও খারাপ অবস্থা ৷ পরিবারই বলে দিচ্ছেন এখানকার আইসি সঞ্জীব ঘোষের অত্যাচারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন নিরঞ্জনবাবু। এবং আত্মহত্যার আগে ২-৩ দিন খাওয়া দাওয়া পর্যন্ত করেনি । এর থেকে বড় প্রমান আর কি চাই ?’
পাশাপাশি নিহত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘এরাজ্য একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি । তাই সরকার দ্বারা যে অত্যাচারিত হবে তার পাশে দাঁড়ানো বিজেপির কর্তব্য । আনিস খানের জন্যও আমি সিবিআই তদন্তের জন্য সোচ্চার হয়েছিলাম । রামপুরহাটের বাগডুইতে ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক প্রথম ছুটে গিয়েছিল । বাগডুইয়ের কেউ বিজেপির ভোটার নয় । ওই গ্রামে আমরা মাত্র ১৮ টা ভোট পেয়েছি । সুতরাং আমরা এগুলো দেখিনা । এটা আমাদের পার্টির সংস্কার । রাষ্ট্রবাদ এবং মানবতাবাদ এটাই বিজেপির সংস্কার ।’।