জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কলকাতা,১৬ এপ্রিল :
আশঙ্কাটা ছিলই। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর মানিকতলা বিধানসভার বাসিন্দাদের আশঙ্কা ছিল এবার হয়তো এলাকায় প্রচলিত ‘দাদা-র বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মধারা থমকে যাবে। আর হয়তো আপদে-বিপদে কাউকেই পাওয়া যাবেনা। কিন্তু অচিরেই এলাকার বাসিন্দাদের সমস্ত আশঙ্কাকে দূর করে দিলেন প্রয়াত মন্ত্রীর তরুণী কন্যা তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রেয়া পান্ডে। প্রয়াত পিতার মৃত্যু জনিত শোককে নিজের হৃদয়ে বন্দী করে পিতার সমাজসেবামূলক কর্মধারাকে সচল রাখলেন ।
মূলত তার উদ্যোগে ও কলকাতা পুরনিগমের ৩২ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা শান্তি রঞ্জন কুন্ডু , ৩২ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় সহযোগিতায় পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হল কলম,মাস্ক, স্যানিটাইজার ও জলের বোতল। ৩২ নং ওয়ার্ড তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌমিক রায় ও সহসভাপতি বিষ্ণু মল্লিকের নেতৃত্বে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী সৌরভ, অরিজিৎ, রাহুল, প্রিয়ম, শুভ, অনিক প্রমুখ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামগুলি পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়। সরঞ্জামগুলি পেয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুব খুশি ।
শ্রেয়াদেবী বললেন, ‘বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা সহ্য করা খুবই কষ্টের। কিন্তু বাবার সমাজসেবামূলক কর্মধারা বজায় রাখতে না পারলে সেটা আরও কষ্টের হতো। তাইতো আমি নিজের কষ্ট বুকে চেপে রেখে বাবার কর্মধারা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।বাবার অনুপস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দারা যাতে নিজেদের অসহায় বোধ না করে তার জন্য সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমার সৌভাগ্য বাবার সঙ্গীদের পাশে পেয়েছি। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাছাড়া বাবার সঙ্গে থেকে কিছু অভিজ্ঞতা আমি আগেই অর্জন করেছিলাম। সেটাও কাজে লেগেছে। সবার সহযোগিতায় আমি বাবার অভাব যতটা সম্ভব পূরণ করার চেষ্টা করব ।’।