এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,১৫ এপ্রিল : বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের যমুনাবাঁধে ১৪২৯ টি ডুব দিয়ে নবর্ষবরণ করলেন সাঁতারু সদানন্দ দত্ত । সদানন্দবাবুর অভিনব উপায়ে নবর্ষবরণ উদযাপন দেখতে শুক্রবার সকালে বিষ্ণুপুরের বিষ্ণুপুরের যমুনা বাঁধে উপস্থিত হয়েছিলেন পুরসভা ও পুলিশের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অসংখ্য স্থানীয় মানুষ ।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে বাড়ি সদানন্দ দত্তর । বাড়ির অনতিদূরেই বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লালবাঁধ । খুব অল্প বয়স থেকেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে লালবাঁধের জলে দাপিয়ে বেড়াতেন সদানন্দবাবু । তখন থেকেই যেন জলকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন । লালবাঁধের জলে সাঁতার কেটে এপার ওপার করা তাঁর নেশা হয়েছিল । স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে নামকরা সাঁতারু হবেন । ইংলিশ চ্যানেল জয় করবেন । কিন্তু পারিবারিক অভাবের কারনে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে । পরিবারের অন্নসংস্থানের জন্য পণ্যবাহী গাড়ি চালকের পেশাকে বেছে নিতে হয়েছিল সদানন্দবাবুকে । এরকম কঠিন সংগ্রামের মাঝেও সাঁতারের প্রতি প্রেম তাঁর থেকেই গেছে । সুযোগ পেলেই বিষ্ণুপুর পুরসভা পরিচালিত সুইমিং পুলে সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন । অবসরে দাপিয়ে বেড়ান লালবাঁধের জলে ।
ইদানিং সাম্প্রতিককালে তাঁর মাথায় চেপে বসেছে রেকর্ডের নেশা । জলে একটানা ডুব দিয়ে গিনেস অথবা লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখানোর খুব ইচ্ছা সদানন্দ দত্তর । সেই উদ্যেশ্যে প্রতি ইংরাজি বছরের প্রথম দিন তিনি সটান হাজির হয়ে যান লালবাঁধে। নতুন বছরের সমসংখ্যক ডুব দিয়ে তিনি নববর্ষ উদযাপন করেন তিনি । ব্যতিক্রম হল না ১৪২৯ বঙ্গাব্দের ক্ষেত্রেও ।
শুক্রবার বছর প্রথম দিনের সকালেই তিনি হাজির হয়ে যান যমুনাবাঁধে । উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামীসহ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা । তাঁদের সামনেই নাগাড়ে ১৪২৯ টি ডুব দেন সদানন্দবাবু । এই কৃতিত্বের জন্য তাঁদের তরফ থেকে সদানন্দবাবুকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় ।।