জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),১৩ এপ্রিল : মানবিক প্রকল্প থাকলেও বিভিন্ন কারণে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষেরা। প্রকল্পের সুযোগ পেতে গেলে দরকার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সার্টিফিকেট। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যেতে হবে জেলা সদর হাসপাতালে। প্রথম দিনেই যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। একদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যদিকে দূরত্বের জন্য বারবার যাওয়া সম্ভব হয়না । ফলে সমস্যা থেকেই যায় । এবার এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল গুসকরা পুর কর্তৃপক্ষ ।
গুসকরা পৌরসভার উদ্যোগে এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সক্রিয় সহযোগিতায় ১৩ ই এপ্রিল পুরসভা চত্বরে পুর এলাকার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয় । পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নিরানব্বই জন নাম দিলেও বিরানব্বই জন শিবিরে উপস্থিত হয়। শিবিরে চোখ, কান সহ বিভিন্ন অঙ্গের প্রতিবন্ধকতার মাত্রা নির্ণয় করা হয়। জানা যাচ্ছে যাদের প্রতিবন্ধকতার মাত্রা পঞ্চাশ শতাংশ বা তার কম তাদের সার্টিফিকেট কয়েক দিনের মধ্যে জেলা থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং পুর কর্তৃপক্ষ সেগুলি প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। অন্যদিকে যাদের প্রতিবন্ধকতার মাত্রা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি এরকম কয়েকজনকে আরও পরীক্ষা করার জন্য জেলা হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়েছে ।স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করার জন্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষগুলি খুব খুশি এবং প্রত্যেকেই পুর কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ।
অন্যদিকে পুরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী বললেন, ‘আমাদের এলাকায় বেশ কিছু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ আছেন। তাদের জন্য সরকারি প্রকল্প থাকলেও প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের অভাবে তারা সেইসব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। তাদের সুবিধার্থে আমরা এই শিবিরের আয়োজন করি। আশাকরি মানুষগুলি এই শিবির থেকে যথেষ্ট উপকৃত হবে ।’ ভবিষ্যতেও এই ধরনের শিবিরের আয়োজন করার জন্য তিনি আশ্বাস দেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বর্ধমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।।