এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৩ এপ্রিল : বছর সাতেক আগে গন ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন গৃহবধু । তারপর আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি । আদালতে মামলাও করেছিলেন । কিন্তু প্রমান নেই, এই অজুহাতে সম্প্রতি বধুর আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত । এদিকে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষকরা । তারা খুনের হুমকিও দিচ্ছে । এখন নিজের ও পরিবারের প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কাতর আকুতি জানালেন গণধর্ষণের শিকার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-এর বাসিন্দা মারিয়া তাহির (Maria Tahir) নামে এক গৃহবধু । দুই সন্তানের জননী মারিয়া তাহির ভিম্বার (Bhimber) বাসিন্দা হলেও বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে মিরপুর (Mirpur) জেলায় বসবাস করছেন ।
জানা গেছে,২০১৫ সালে গনধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধু ৷ তখন তিনি পিওকের ভিম্বার এলাকায় বসবাস করতেন । একদিন স্থানীয় বাসিন্দা হারুন রশিদ, মামুন রশিদ, জামিল শফি, ওয়াকাস আশরাফ, সানাম হারুন এবং আরও তিনজন মিলে তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে । তিনি পুলিশ এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে গিয়েছিলেন । কিন্তু সকলেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন । আদালতেও মামলা দায়ের করেন । কিন্তু প্রমানের অভাবের অজুহাত দেখিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছে বিচারক । কিন্তু অসমসাহসী ওই মহিলা এখনও ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন । সাম্প্রতিক কিছু সময় ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে লাগাতার পোস্ট করে যাচ্ছেন নির্যাতিতা বধু মারিয়া তাহির ।
মারিয়া লিখেছেন,আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে পোস্ট করার পর থেকে অসংখ্য কল আসছে আমার কাছে । নিজেদের সেনাবাহিনীর লোক বলে দাবি করা ওই সমস্ত মানুষ আমায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে,খুনের হুমকি দিচ্ছে । আমি সেনাবাহিনী প্রধান এবং ডিজি আইএসপিআরকে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছি যে তাদের এজেন্সির কিছু লোক সন্ত্রাসীদের সমর্থনে আমাকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে ।’
সেই সঙ্গে তিনি পাকিস্থানি সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই । যদি নিরাপত্তা প্রশ্ন থাকে তাহলে আপনার সৈন্যদের বলুন চকোটি ক্রস পয়েন্ট, হাজিরা পুঞ্চওয়ালাতে আমার স্বামী ও সন্তানদের কাপড় খুলে দিতে, আমাদের উলঙ্গ করে শ্রীনগরে যেতে দিন । অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের নুন্যতম লজ্জাবোধ থাকে তাহলে আমাদের পোশাক ফেরত দেবে ।’
পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তায় মারিয়া তাহির ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কাতর আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন করছি আমাদের ভারতে আসার অনুমতি দিন । তা না হলে আমি ও আমার আমার সন্তানরা খুন হয়ে যাবো । স্থানীয় পুলিশ এবং চৌধুরী তারিক ফারুক নামে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ যে কোনো সময় আমাকে এবং আমার সন্তানদের খুন করে দেবে । তাই আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আমাদের আশ্রয় এবং সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি ।’।