এইদিন ওয়েবডেস্ক,কিশোরগঞ্জ(বাংলাদেশ),০৬ এপ্রিল : বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করল এক প্রৌঢ় । আর তার জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়েটি । ডাক্তারি পরীক্ষায় বিষয়টি জানা গেলে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে । এদিকে বন্ধুর কিশোরী কন্যার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর কানে যেতেই বেগতিক বুঝে চম্পট দিয়ে গুনধর প্রৌঢ় । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর এলাকায় । মেয়ের ধর্ষক বিল্লাল মিয়ার শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের দরজায় দরজায় ঘুরছেন কিশোরীর বাবা । কিন্তু কারোর কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ । কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এনিয়ে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’
জানা গেছে,কুলিয়ারচর থানা এলাকার বাসিন্দা বছর তেরোর ওই কিশোরীর বাবা ঢাকায় জুতার কারখানায় কাজ করেন । মা গৃহবধু । কিশোরী বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান । ঘটনাটি ঘটে মাস পাঁচেক আগে । ওইদিন কর্মস্থলে গিয়েছিলেন কিশোরীর বাবা । মা পিসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল । বাড়িতে একাই ছিল মেয়েটি ।
নির্যাতিতা কিশোরী জানিয়েছে,ওইদিন তার জ্বর জ্বর ভাব থাকায় দরজা-জানালা বন্ধ করে সে শুয়ে ছিল । সেই সময় বাড়িতে আসে তার বাবার বন্ধু তথা প্রতিবেশী বিল্লাল মিয়া । সে দরজা খুলতেই বিল্লাল তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় । লজ্জায় সে মুখ খুলতে পারেনি ।
জানা গেছে,২০ থেকে ২৫ দিন আগে কিশোরীকে একজনের বাড়িতে কাজে পাঠান তার বাবা । আর সেখানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে । তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় । তারপর চিকিৎসকের কথামত পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই ধরা পড়ে কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।
স্থানীয়রা জানান,অভিযুক্ত বিল্লাল মিয়া মাদক পাচারসহ বিভিন্ন বে আইনি কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত । যদিও সে কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেতেই বেপাত্তা হয়ে গেছে । তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা ।।