এইদিন ওয়েবডেস্ক,গোরক্ষপুর,০৪ এপ্রিল : উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার গোরক্ষনাথ মন্দিরের ভিতরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন এক যুবক । মন্দিরের গেটের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মী তাঁকে বাধা দিতে গিয়েছিলেন । ওই যুবক তখন পুলিশকর্মীদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন । কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় দুই পুলিশকর্মীকে সে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ । পুলিশ হামলাকারী যুবককে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আহমাদ মুর্তজা আব্বাসি । উল্লেখ্য, গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বা মহন্ত হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । তবে ঘটনার সময় তিনি মন্দিরে ছিলেন না । ঘটনার পর মন্দির চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গোরক্ষনাথ মন্দির চত্বর এলাকার বাসিন্দা আহমাদ মুর্তজা আব্বাসি আইআইটি বম্বে থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন । রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার নাগাদ তিনি গোরক্ষনাথ মন্দিরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন । কিছুটা দুরেই দাঁড়িয়ে ছিল আব্বাসির এক সঙ্গী । সেই সময় মন্দিরের মূল ফটকের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল গোপাল গৌড় এবং অনিল পাসওয়ান নামে দুই পুলিশকর্মী । তাঁরা ওই যুবককে মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে তল্লাশি শুরু করেন । আর তখনই পুলিশকর্মীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মুর্তাজা । কিন্তু ব্যর্থ হলে সে একটি হাঁসুয়া জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা চালান । তাঁরা গুরুতর আহত হন ।
ঘটনাস্থলের আশেপাশেই রয়েছে প্রচুর দোকানপাট । সামনেই স্থানীয় থানা । বিষয়টি জানতে পেরে বেশ কিছু ব্যবসায়ী ছুটে আসেন । তাঁরা যুবককে আটকানোর চেষ্টা করেন । তখন হামলাকারী যুবক ‘আল্লাহ-হু-আকবার’ বলে চিৎকার করতে করতে হাঁসুয়া নিয়ে ভিড়ের দিকে তেড়ে যান । ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে চলে আসেন আরও কয়েকজন পুলিশকর্মী । শেষে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে ধরে গনধোলাই নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ।
জানা গেছে,আহমাদ মুর্তজা আব্বাসি নামে হামলাকারী যুবক ধরা পড়তেই তাঁর সঙ্গী চম্পট দেয় । তবে পালানোর সময় তার কাঁধে থাকা ল্যপটপ ব্যাগটি পড়ে যায় । পরে পুলিশ ওই ব্যাগের মধ্য থেকে একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, একটি বিমানের টিকিট এবং একটি প্যান কার্ড উদ্ধার করে । এই ঘটনায় জঙ্গি যোগের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ । পুলিশ আব্বাসির বাবা-মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে । পাশাপাশি তাঁর সঙ্গীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । তবে ধৃত যুবকের দাবি পারিবারিক সমস্যার কারনে সে এই কাজ করে ফেলেছে ।।