দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),৩১ মার্চ : চক্রবৃদ্ধি সুদে দেনা করে মর্মান্তিক পরিনতি হল পেশায় রাজমিস্ত্রি এক যুবকের । একদিকে পাওনাদারদের লাগাতার তাগাদা,তার উপর দেনা শোধের কোনও উপায় না দেখে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি । পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের শাঁখাই গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মল্লিক(২৮) নামে ওই যুবককে বুধবার রাতে বাড়ির একটি ঘরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন । তাঁকে নামিয়ে তড়িঘড়ি কেতুগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় যুবকের । বৃ্হস্পতিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার ও পরিজন ।
জানা গেছে,প্রসেনজিৎ মল্লিকের বাড়িতে রয়েছেন মা মিনতিদেবী এবং এক ভাগনা বিক্রম । ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন প্রসেনজিৎ । কিন্তু লক ডাউন পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ ছিল । তাই বাড়ি চলে আসেন । তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন ।মৃতের বোন পিঙ্কি সাহা বলেন,’সংসার চালানোর জন্য দাদা স্থানীয় দুই সুদের কারবারির কাছ থেকে চক্রবৃদ্ধি সুদে কিছু টাকা ধার করেছিলেন । কিন্তু সেই টাকা শোধ দিতে না পারায় সুদে আসলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হয়ে গিয়েছিল । এদিকে লাগাতার তাগাদ দিচ্ছিল পাওনাদারেরা । তারা বুধবারের মধ্যে সব টাকা শোধ করে দেওয়ার জন্য বলে । কিন্তু টাকা শোধের কোনও বিকল্প উপায় ছিল না দাদার । এই কারনে কয়েকদিন ধরে খুব হতাশায় ভুগছিল । শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হয় দাদা ।’
পরিবার সুত্রে জানা গেছে,বুধবার কাজ সেরে সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে চলে যান প্রসেনজিৎবাবু । তারপর রাতে খাওয়ার জন্য তাঁর মা ডাকতে গিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান । পুলিশ জানিয়েছে,এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে পুলিশ ।।