এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩১ মার্চ : বগটুই গনহত্যা কান্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে নিয়ে এখন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে গেছে । অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন,কিছু একটা ঘটতে পারে আঁচ করেই তিনি আনারুলকে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের সভাপতির পদ থেকে সরানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছিলেন । কিন্তু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় তিনি আনারুলকে রেখে দিতে বাধ্য হন । অনুব্রতর কথায়,’আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে মুচলেখাও দিতে চেয়েছিলেন । তিনি আনারুলকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত রেখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন । আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সিনিয়র মানুষ। আবার ওনার বিধানসভারই বিষয় । উনি চিঠি লিখে আনারুলকে রেখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বলে আমি আর আনারুলকে সরাইনি ।’
এদিকে রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা সাদা কাগজে হাতে লেখা একটা চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে । বীরভূম জেলা সভাপতির উদ্দেশ্যে ইংরাজী হরফে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে,প্রিয় বন্ধু, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত সভাপতির পদ পরিবর্তন না করার জন্য আনারুল হোসেনের নামটি বিবেচনা করার জন্য আমি আপনাকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করব । (Dear Friend,I would earnestly request you to kindly consider the name of Anarul Hossain for not changing the post of president upto upcoming panchiyet election)। চিঠিটি গত বছর জুনের ১০ তারিখে লেখা । অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আনারুলের জন্য সুপারিশ করে চিঠি লেখার কথা স্বীকার করেছেন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি জানান, তিনি চিঠি লিখেছিলেন ঠিকই তবে ব্লক সভাপতিকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা সভাপতি । এতে বিধায়কের কোনো হাত নেই ।
এদিকে বুধবার বিজেপি-র ‘সত্যান্বেষী’ কমিটি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে বগটুই-কাণ্ডের রিপোর্ট জমা দিয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, রিপোর্টে অনুব্রতের নাম রয়েছে এবং তাঁকে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি । এই পরিস্থিতির মাঝে ধৃত আনারুল হোসেনকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল-আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তরজা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।।