এইদিন ওয়েবডেস্ক,রামপুরহাট(বীরভূম),২৬ মার্চ : সুচপুরের ঘটনায় যেমন সিপিএম শেষ হয়েছিল তেমনি রামপুরহাটের ঘটনায় তৃণমূল বাংলা থেকে মুছে যাবে বলে তোপ দাগলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বগটুই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রামপুরহাট এসডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শুভেন্দু । ওই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন । অনুব্রত মণ্ডলকে অশিক্ষিত, তোলাবাজ,গুন্ডা,গুন্ডার সর্দার বলে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন,’অনুব্রত মন্ডলের কল রেকর্ড আগে ধরা উচিত ৷ পুলিশ মন্ত্রীর সঙ্গে যতবার তাঁর ফোনে কথা হয়েছে সেটাও প্রকাশ্য আসা উচিত ৷’ তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে পুলিশকে বলছেন তোমরা সুচপুরে যেমন কেস সাজিয়েছিলে তেমনি এখানেও সাজাও ৷ এটা একজন মুখ্যমন্ত্রী কখনও পুলিশকে বলতে পারে ? সুচপুরের ঘটনায় যেমন সিপিএম শেষ হয়েছিল তেমনি রামপুরহাটের ঘটনায় বাংলা থেকে মুছে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস ।’
শুভেন্দু বলেন, ‘সিবিআইয়ের দাবিতে ৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ছিল । বিচারব্যবস্থাকে নত মস্তকে প্রনাম ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি । কারন মহামান্য আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাই এই বিক্ষোভ সমাবেশ আমরা রবিবারেই শেষ করে দেবো । সাত দিনের পরিবর্তে ২ দিনের জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করব । এখন আমাদের সিবিআইয়ের দাবি নেই ঠিকই কিন্তু এখনও দুটো দাবি থাকবে । প্রথমত, এই ঘটনায় জন্য জিনি দায়ি সেই অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশের দপ্তর ছাড়তে হবে । তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে । আর আমাদের দু’নম্বর দাবি,বীরভূমে বছরের পর বছর ধরে যারা খুন সন্ত্রাস এবং লুটের রাজনীতি করছেন তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে । এই দাবিতে আমাদের ৪৮ ঘন্টা অবস্থান চলবে ।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী । আর সেদিন থেকেই তিনি পুলিশমন্ত্রীও রয়েছেন । অথচ এক দিনের জন্যও বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রশ্ন উত্তরে অংশ গ্রহন করেননি । ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত অর্থ ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বাজেটও বিধানসভায় আলোচিত হত না । ঝালদা ও পানিহাটিতে দুই কাউন্সিলার প্রকাশ্যে খুন হওয়ার পরে এই প্রথম দিদি আলোচনা করেছেন । ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না ।’
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোটা পশ্চিম বঙ্গ আজ গোলা বন্দুক বারুদের স্তুপ হয়ে গেছে। সন্ত্রাসের আতুরঘরে পরিনত হয়েছে । এই “তোলামুল” পার্টি আইন শৃঙ্খলাকে একেবারে তলানিতে নিয়ে এসেছ । ২১ শে মার্চের ঘটনা শুধু বাংলা নয়, গোটা বিশ্বের আলোচ্য বিষয় হয়ে গেছে । এই লজ্জা আমাদের রাখার জায়গা নেই ।’ এদিন বিক্ষোভ সমাবেশের পর দলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী ।।