এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম,২৪ মার্চ : পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়ায় রোড জ্যাম । বীরভূমে পুলিশি বাধা । শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছোলেন জাতীয় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী । প্রথমে তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন । তাঁদের সর্বোতভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন অধীর । শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত তুলোধুনো করেন ।
। বগটুই গ্রামের ঘটনাকে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’ বলে ব্যাখা করে অধীর চৌধুরী বলেন,’১০ জন আগুনে ঝলসে মারা গেছে । এর বাইরে বহু দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে । হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা ঠিকমত হচ্ছে না । আর মুখ্যমন্ত্রী বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন ।’ বগটুই কান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনারুলকে গ্রেফতারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে ‘চালাকি’ বলে কটাক্ষ করেন অধীর ।
অধীরবাবু বলেন,’বাংলায় গত এক মাসে ২৬ জন খুন হয়েছেন । প্রত্যেকটাই রাজনৈতিক খুন । আনিস খান, তুহিনা খাতুন, পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলার, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার,আর এখন বগটুই । একের পর হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এই বাংলায় ।’এদিকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মাঝেও বিভিন্ন সড়ক পথের মাঝে মাঝে ‘সুস্বাগতম মমতা’ লেখা অভ্যর্থনা গেট নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীরবাবু । তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আসায় এই পরিস্থিতির মাঝেও গোটা এলাকাকে কিভাবে সাজানো হয়েছে আপনারাই দেখুন ।’
এদিন সকালে মুর্শিদাবাদ থেকে বর্ধমান হয়ে বীরভূমের উদ্দেশ্যে রওনা হন অধীর চৌধুরী । কিন্তু সকাল ১১ – ১০ নাগাদ অধীরের কনভয় ২ বি জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়ায় রেলওয়ে আণ্ডারপাশের কাছে পৌছালে দেখা যায় তার আগে থেকেই একটি লরি যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে আণ্ডারপাশে আটকে রয়েছে । ফলে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে । শেষে পুলিশ ক্রেনের সাহায্যে বিকল হয়ে যাওয়া লরিটি সরানোর ব্যবস্থা করলে আধ ঘন্টা খানেক পর অধীরবাবু বোলপুরের দিকে রওনা দেন । কিন্তু বীরভূমে গিয়েও তাঁকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় । তার প্রতিবাদে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রাস্তার উপরে বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন অধীরবাবু । কয়েক ঘন্টা চলে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন। শেষ পর্যন্ত বিকেল নাগাদ তিনি বগটুই গ্রামে পৌঁছোন ।।