সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ মার্চ : কম টাকার টেন্ডার দেখিয়ে বঞ্চিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখালেন বৃক্ষপাটা প্রাপকরা । বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বনপাশ পঞ্চায়েতের বেশ কিছু মহিলা ও পুরুষকে এনিয়ে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায় । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো ওই গাছ বিক্রির টেন্ডার করেছে পঞ্চায়েত। টেন্ডারের আসল মূল্য তাঁদের জানানো হচ্ছে না । পরিবর্তে খুব কম টাকার টেন্ডারের দেখিয়ে তাঁদের বঞ্চিত করার চেষ্টা চলছে । ফের নতুন করে টেন্ডার করার দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বৃক্ষপাটা প্রাপকরা । বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে । শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । যদিও বিক্ষোভের সময় পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি মণ্ডল অফিসে ছিলেন না ।
স্থানীয় ও পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে,বছর সাতেক আগে বনসৃজন প্রকল্পে বনপাশ পঞ্চায়েতের মোহনপুর ও ধাধলসা গ্রামের পাশে ক্যানেলের ধারে বেশ কিছু ইউক্যালিপটাস,সোনাঝুড়ি,আকাশমণি প্রভৃতি গাছ লাগানো হয়েছিল । গাছগুলি দেখভালের দায়িত্ব ছিল দুটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপর । প্রতি গোষ্ঠীতে প্রায় ৫০ জন করে সদস্য রয়েছেন । দিন দশেক আগে টেন্ডার করে গাছগুলি বিক্রি করে দেয় পঞ্চায়েত ।
গনেশ মুর্মু,যদু মুর্মু,সুনীল টুডুরা বলেন,’আমরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারিনি যে গাছগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে । বুধবার রাতে পঞ্চায়েতের এক সদস্য যখন স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়ি গিয়েছিলেন তখন টেন্ডারের কথা জানতে পারি
। জিজ্ঞাসা করাতে ওনার কাছেই জানতে পারি মাত্র ৩ লক্ষ টাকায় সাত বছরের পরিনত গাছগুলি বিক্রি করা হয়েছে । অথচ পাশের নারায়ণপুর গ্রামে একই বয়সী শ’পাঁচেক গাছের টেণ্ডার হয়েছে ১১ লক্ষ টাকায় ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ওই পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার জন্য বলছিলেন । কিন্তু আমরা করিনি ।’
স্থানীয় গ্রামবাসী শান্তিরাম মণ্ডল বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বনসৃজন প্রকল্পে লাগানো গাছ বিক্রির টাকার ৭০ শতাংশের অধিকারী বৃক্ষপাটা প্রাপকরা । অথচ যারা সিংহভাগ অংশের মালিক তাঁরাই জানতে পারলেন না টেন্ডার কখন হল । এতেই স্পষ্ট টেন্ডারে স্বচ্ছতার অভাব আছে ।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে
পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি মণ্ডলকে ফোন করা হলে উনি ব্যস্ততার কারন দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান ।।