এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,১৭ মার্চ : তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের জীবন । পরিবারের মুখে দু’দুটো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য বহু মহিলা ও পুরুষ নিজের কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন । এবার জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে আফগানিস্তানের ৯৫ শতাংশ মানুষ ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে ৷ নারী-নির্ভর পরিবারের সংখ্যা প্রায় ১০০ শতাংশ । আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি রমিজ আল-কাবারভ বলেছেন, ‘এটি একটি বিশাল এবং অকল্পনীয় হার ।’
সম্প্রতি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয় ওই রিপোর্টটি । তাতে বলা হয়েছে আফগানিস্তানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়নে (২৩×১০ লাখ) পৌঁছেছে যা ২০২১ সালের জুলাই মাসে ১৪ মিলিয়ন ছিল । বর্তমানে ক্ষুধা ও দারিদ্র বিপজ্জনক সীমায় পৌঁছে গেছে । অধিকাংশ পরিবারের জীবন কাটছে অভুক্ত অবস্থায় ।
প্রকশিত প্রতিবেদনে রমেজ আল-আকবারভ একটি অপুষ্ট শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ডের একটি ছবিও প্রকাশ করে জানিয়েছেন,সেখানে চিকিৎসাধীন নবজাতকের ওজন একটি উন্নয়নশীল দেশে এক বছরের ৬ মাস বয়সী শিশুর চেয়েও কম । তিনি বলেন, ‘কিছু শিশু এত দুর্বল যে তারা নড়াচড়া পর্যন্ত করতে পারেছে না ।’ জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে,আফগানিস্তানের কৃষি ও ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থা, আর্থিক সংকট ক্রমশ দূর্বল থেকে দূর্বলতর হচ্ছে । জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মানুষ ঋণে জর্জরিত । এদিকে প্রতিদিন চড়চড় করে বাড়ছে খাদ্য ও জ্বালানির দাম । জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ৪ টি প্রদেশের ২৮ টি জেলায় অপুষ্টির হার সবচেয়ে বেশি ৷ রমেজ আল-আকবারভ বলেন,’৩৪ টি প্রদেশে ২,৫০০ টির বেশি অপুষ্টি নিরাময় কেন্দ্রে অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছে । আমরা চলতি বছরে ৩২ হাজার শিশুর চিকিৎসা করেছি ।’।