দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৬ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচার করে জনৈক এক গৃহবধুর পেট থেকে বের করা হল ৫ কেজি ওজনের টিউমার । ভাতার বাজারের কদমতলায় রয়েছে ‘সেবালয় হাসপাতাল’ নামে ওই নার্সিংহোমটি । সম্প্রতি সেখানে ভর্তি করা হয় ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা ফুলমনি মাড্ডি(৪২) নামে বছর বিয়াল্লিশের ওই গৃহবধুকে । বুধবার দু’ঘন্টা কুড়ি মিনিট ধরে তাঁর অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে ওই বিশালাকৃতির ওই টিউমারটি বের করেন নার্সিংহোমের চিকিৎসক ডাঃ কৃষ্ণপ্রসাদ দাস । তিনি জানিয়েছেন, রোগী বর্তমানে সুস্থ আছেন । তবে তাঁকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে । এদিকে ভাতারের মত মফস্বল এলাকায় স্বল্প পরিকাঠামোর একটি নার্সিংহোমে এমন জটিল অস্ত্রপচার তাক লাগিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসীকে ।
জানা গেছে,ফুলমণি মাড্ডির এক সন্তান রয়েছে । বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর পেট ফোলার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল । ফুলমণি মা সন্মতি মাড্ডি বলেন, ‘প্রথম দিকে ভেবেছিলাম আমার মেয়ে হয়তো দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে । কিন্তু এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও মেয়ের প্রসব না হওয়ায় সন্দেহ হয় । মেয়েকে ওঝা গুনিনদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি । শেষে ভাতারে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ওই নার্সিংহোমের খবর পাই । তারপর মেয়েকে ভাতারে এনে নার্সিংহোমে ভর্তি করি । তখন চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান আমার মেয়ে অন্তুঃসত্ব্বা নয়,বরঞ্চ মেয়ের পেটে একটি বড়সড় টিউমার রয়েছে ।’
দেখুন ভিডিও :
চিকিৎসক ডাঃ কৃষ্ণপ্রসাদ দাস বলেন, ‘রোগীর জরায়ুর গা থেকে আপার আ্যাবডোমেন জায়গা জুড়ে ছিল ওই ৫ কেজি ওজনের টিউমারটি । সেই কারনেই পেট ফুলে ছিল । দেখে মনে হবে মহিলা অন্তঃসত্ত্বা । সেই সঙ্গে প্রথম সন্তানের জন্মের সয় তাঁর জরায়ুতে যে কপার-টি পড়ানো হয়েছিল, সেটিও একই অবস্থায় ছিল । মহিলা কপার-টি এর বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলেন । এদিন টিউমারের সঙ্গে সেটিও বের করা হয় ।’ তিনি জানিয়েছেন,এবার ওই মহিলা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন । তবে মহিলা ফের গর্ভধারণ করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ডাঃ কৃষ্ণপ্রসাদ দাস ।।