আমিরুল ইসলাম,বর্ধমান ১৫ মার্চ : এতদিন স্কুলের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছিলেন অভিভাবকরা । এবার ঘটলো এর ঠিক উল্টোটাই।প্রাইমারি স্কুলে মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ তুলে স্বোচ্চার হলেন খোদ শিক্ষকরাই। বৃহস্পতিবার এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়া নিয়ে এদিন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ভাতারের বিডিওর কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা । এমন ঘটনা শেরগোল ফেলে দিয়েছে ভাতারের প্রশাসনিক মহল ওই স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবক মহলে ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ,মিড ডে মিলের চাল কম দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ তোলেন ভাতারের বরগুনা ও ভাতার অঞ্চলের বেশকিছু প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক । বিডিওকে লিখিত অভিযোগে তাঁরা জানিয়েছেন,ভাতার সমবায় সমিতি থেকে প্রাথমিক স্কুল গুলি মিড ডে মিলের চাল আসে । প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল থাকার কথা । কিন্তু সরবরাহকারী সংস্থা মিড ডে মিলের চালের যে সব বস্তা স্কুলে দিয়ে গেছে তাতে ৪ থেকে ১০ কেজি কম চাল কম রয়েছে এদিন পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের জন্য চাল দিতে গিয়ে বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে বলে শিক্ষকা অভিযোগ করেছেন। তার পরেই তাঁরা মিড ডে মিলের চাল স্কুলে কম দেওয়ার বিষয়টি বিডিওর গোচরে আনার সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে শিক্ষকরা ঘটনার তদন্ত করে সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানান ।
ভাতার ব্লকে ৮৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে
। ওই সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ,
বেশ কয়েকমাস যাবৎ সরবরাহকারী সংস্থা
কম ওজনের মিড ডে মিলের চালের বস্তা স্কুলে স্কুলে সরবরাহ করেছে। প্রথমে বিষয়টি সবাই বুঝে উঠতে পারেননি । অতিমারির প্রভাব কমে যাওয়ায় স্কুল পোরোপুরি চাল হতেই বস্তায় চাল কম থাকার বিষয়টি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়।বলগোনা দক্ষিনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জ্বল নন্দী, প্রতাপ দত্ত বলেন,’আমরা চাই ব্লক প্রশাসন এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে চাল সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক । নয়তো মিড ডে মিলের চাল কম হওয়ার জন্য অভিভাবকরা শিক্ষকদের ভুল বুঝবেন ।’ বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন,’অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।ভাতার সমবায় সমিতির তরফে কেউ-ই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন ।।