প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৩ মার্চ : পুরভোটের ফল প্রকাশের দিন তৃণমূল সমর্থক কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগ ওঠে সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকা নিবাসী কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১১ টা দিন । এতদিন বাদ রবিবার তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে বর্ধমানে এল
দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল । যার নেতৃত্বে ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষ সরকার । পুলিশের ডিএসপি অতনু ঘোষালের সঙ্গে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা এদিন তুহিনা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।পাশাপাশি বেশকিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন।তুহিনা খাতুনের ব্যবহৃত একটি ডায়েরিও এদিন সংগ্রহ করে নিয়েযায় ফরেন্সিক টিম।তদন্তের বিষয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা এদিন সংবাদ মাধ্যমকে যদিও কিছু বলতে চাননি ।
তৃণমূল সমর্থক পরিবারের সদস্য তুহিনার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাঁর দিদি সদ্য জয়ী ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সেখ বশির আহমেদ ও তাঁর । ১৪ জন অনুগামীর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ।তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ দু’দফায় চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলার এখন গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার ।বশির আহমেদ ঘটনার দায় অস্বীকার করলেও মৃতার পরিবার বশিরের গ্রেফতারের দাবিতে এখনও স্বোচ্চার রয়েছে ।
এদিকের তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনা আনিস কাণ্ডের মতোই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে । চলতি মাসের সাত তারিখ বর্ধমানে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।তিনি তুহিনা বাড়িতে যান ।পরিফারের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়ে যান অধীরবাবু।এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বও তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে । ষম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন এ,পি,ডি,আর,এর সদস্যরাও তুহিনার বাড়িতে যান ।তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন।পুর ভোটের প্রাক্কালে তুহিনাদের বাড়ি লাগোয়া একটি দেওয়ালে অাঁকা হয় বিভৎস দেওয়াল চিত্র।পুরভোটের ফল প্রকাশের পর তুহিনাদের তিন বোনকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে মরতে হবে এমন হুমকি ওই দেওয়াল চিত্র মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ । এপিডিআরএর সদস্যরা ওই দেওয়াল চিত্রের ছবি তুলে নিয়ে যান । এখনও এলাকার দেওয়ালে ওই ছবি রয়ে থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহল নিন্দায় সরব হয়েছেন ।।