প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,পূর্ব বর্ধমান,১৩ মার্চ : নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে পাঞ্জাবের মসনদ দখলের পর দেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রীমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নাম উঠতে শুরু করেছে । তৃতীয় ফ্রন্টের নেতা হিসাবে কেজরীওয়ালের নাম নিয়ে জোর চর্চা চলছে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে । ফলে এই হিসাবে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কারন তৃতীয় ফ্রন্টকে সংগঠিত করতে দীর্ঘ দিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা । এবার তাঁর উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলার মাটিতে থাবা বসাতে চলেছে কেজরীওয়ালের ‘আপ’ । তারই প্রাথমিক লক্ষ্মণ দেখা গেল বর্ধমান শহরে । আম আদমি পার্টির বেশ কিছু পোস্টার সাঁটানো হল বর্ধমান শহরের অলিতে গলিতে । এখন এই পোস্টার ঘিরে আলোড়ন পড়ে গেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে ।
রবিবার বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ছবি দেওয়া বেশ কিছু পোস্টার সাঁটা হয়েছে । দেওয়া হয়েছে একটি মোবাইল নম্বরও । একবারে উপরে লেখা, ‘পূর্ব বর্ধমান জেলায় যোগদানের জন্য মিসড কল দিন ।’ পোস্টারের মাঝে শ্লোগান লেখা হয়েছে, ‘নোংরা রাজনীতি করতে সাফ,বাংলায় এবার আসছে আপ ।’ পোস্টারের একেবারে নিচে ঝাঁটার প্রতীকসহ লেখা আম আদমী পার্টি ।’
প্রসঙ্গত,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মধ্যে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা নেই । বরঞ্চ বিভিন্ন ইস্যুতে কেজরীওয়ালের পক্ষ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলতে দেখা গেছে মমতাকে । এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই কেজরীওয়ালই বাংলায় নিজের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে এগুতে শুরু করেছে । এর ফলে মমতা-কেজরীওয়ালের মধ্যে সুসম্পর্কে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল । যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন,’পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আছে । যে কোনও রাজনৈতিক দল পোস্টার লাগাতে পারে। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব দেখা দেবে না ।’।