জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কলকাতা,১২ মার্চ : যে কয়েকজন কাব্য-সাধক গত কয়েক বছর ধরে বাংলা কাব্য-সাহিত্য জগতকে উজ্জ্বল করে চলেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন উলুবেড়িয়া থেকে প্রকাশিত’চতুষ্কোণ’ সাহিত্য পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা তথা সম্পাদক কবি রজনীকান্ত মাখাল। ইতিমধ্যে বহু নবীন কবি প্রতিভা তারই হাত ধরে বাংলা কাব্য জগতে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি বছরই তার সম্পাদিত পত্রিকায় নবীন প্রতিভাদের লেখা কবিতা স্থান পায়। শুধু তাই নয় তারই সম্পাদনায় বছরের বিভিন্ন কবির কাব্যগ্রন্থ ছাপার অক্ষরে দিনের আলোর মুখ দেখে ।
কলকাতায় চলছে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। প্রকাশিত হচ্ছে নিত্য নতুন বই। গত ১০-ই মার্চ একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কবি রজনীকান্ত মাখালের সম্পাদনায় এবং বনানী প্রকাশনীর হাত ধরে কলকাতা বইমেলায় আত্মপ্রকাশ ঘটে কবি মল্লিকা পালের ভিন্ন স্বাদের শতাধিক কবিতা সমৃদ্ধ একক কাব্যগ্রন্থ ‘মল্লিকা বনে’। প্রসঙ্গত এর আগেও কবির একাধিক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং পাঠক সমাজের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। একইসঙ্গে আত্মপ্রকাশ ঘটে কবি বাণী চক্রবর্তী’র লেখা প্রায় ৭৫ টি ভিন্ন স্বাদের মৌলিক কবিতা সমৃদ্ধ একক কাব্যগ্রন্থ ‘অন্তর্লীন অবরোহন’। ইতিমধ্যে বাণী দেবী অনুদিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নোবেল লরেটোদের রচিত কবিতার সঙ্গে কাব্য রসিক পাঠকদের পরিচয় ঘটেছে ।
কাব্যগ্রন্থ দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য, অধীরকৃষ্ণ মণ্ডল, অমৃতেন্দু মণ্ডল, প্রসেনজিৎ রায়, প্রবীররঞ্জন মণ্ডল, তনশ্রী দাস (দীপা)-এর মত অনেক বিশিষ্ট কবি সহ বিশেষ সাহিত্যানুরাগী সহেলী দাস (মৌ), চিরব্রত বোস, প্রবীর বোদক, গোপাল মণ্ডল প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বিশিষ্টদের সাহিত্য আলোচনায় ভরপুর অনুষ্ঠানটি উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে ।
অসুস্থ থাকলেও উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে মল্লিকা দেবীর কণ্ঠে। বহু কষ্টে তিনি বলেন – নিজের সৃষ্টি কাব্যরসিক পাঠকদের হাতে তুলে দিতে পেরে খুব আনন্দ হচ্ছে। একই সুর ধরা পড়ে বাণী দেবীর কণ্ঠে। তিনি বলেন – আজ সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।
অন্যদিকে রজনীকান্ত বাবু বলেন, ‘কলকাতা বইমেলার মত আন্তর্জাতিক মঞ্চে দুই বিশিষ্ট কবির কাব্যগ্রন্হ প্রকাশ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আশাকরি ভিন্ন স্বাদের কবিতাগুলি কাব্যরসিক পাঠকদের মুগ্ধ করবে। তিনি আরও বলেন – আগামী দিনেও নতুন নতুন কাব্যগ্রন্হ প্রকাশের চেষ্টা বহাল রাখতে চেষ্টা করব ।’।