এইদিন ওয়েবডেস্ক,তিরুবন্তপূরম,১১ মার্চ : নিজের বাবার সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে ১০ বছরের এক কিশোরী । কিশোরীর মা তার স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে বিষয়টি বুঝতে পারেন । তারপর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন । আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে অন্য কেউ নয়, মেয়েটি খোদ তার জন্মদাতা পিতার লালসার শিকার হয়েছে । সমাজের মাথা হেঁট করে দেওয়ার মত এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরালায় । বৃহস্পতিবার কেরালা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল । বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণনের (PV Kunhikrishnan) একক বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় । বিচারক বলেছেন, ‘শিশুটির বাবা অভিযুক্ত । এ অভিযোগ সত্য হলে আদালত লজ্জিত । তিনি বলেন, এটা সমগ্র সমাজের জন্য লজ্জাজনক।’ তিনি আরও বলেছে, আসামি আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না এবং দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবে ।’
একই সঙ্গে তিনি মেডিক্যাল বোর্ডকে গর্ভপাত রুখতে (medical termination of pregnancy) যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । এর আগে মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছিল, যেহেতু গর্ভাবস্থা ৩১ সপ্তাহ হয়ে গেছে, তাই এখন অপারেশন করেই ডেলিভারি করতে হবে । এই পরিস্থিতিতে, নবজাতকের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । এদিকে এনিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত ।
কিন্তু নবজাতকের দায়িত্ব কে নেবে ? এই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেরালার আদালত ।আদালত ২০১৯ সালে বোম্বে হাইকোর্টের দেওয়া অনুরূপ সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে জানায়, মেয়েটির বাবা-মায়ের যদিও সঙ্গতি না থাকে তাহলে নবজাতক শিশুটি বেঁচে থাকলে তার দায়িত্ব সরকার ও তার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এম কাবানি দীনেশ এবং সি আচলা(M Kabani Dinesh and C Achala) ।।