প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৭ মার্চ : গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে তিন বোনকে ঝুলে মরতে হবে এমন ছবি পুর ভোটের সময়ে যাঁরা দেওয়ালে এঁকেছিল তাঁরা কি মুখ্যমন্ত্রীর দলেরই লোক?যদি তা হয় তবে সেটা বাংলার লজ্জা। পুর ভোটের ফলপ্রকাশের দিন বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সমর্থক তরুণী তুহিনা খাতুনে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা সোমবার এই ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী ।
শহর বর্ধমানে আঁকা থাকা ওই দেওয়াল চিত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অধীরবাবু এও বলেন, ‘আপনার বাড়ির সামনে দেওয়ালে ছবি এঁকে দিয়ে কেউ যদি বলে ,আপনার গলায় দড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি’ । তাহলে আপনি কি সেটা মানবেন ?এদিন মৃত তুহিনা খাতুনের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে এসে অধীর চৌধুরি এলাকায় অাকা থাকা ওই দেওয়াল চিত্র চাক্ষুষ করে স্তম্ভিত হয়ে যান ।পরে তিনি দাবি করেন,সংখ্যালঘু পরিবারের উপর এমন অত্যাচার কার্যত নজিরবিহীন। যে অত্যাচারের হাতথেকে হাওড়ার আমতার আনিস খান রেহাই পায় নি। বর্ধমানের তুহিনা খাতুনও পেল না।যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা সেখানে এমন ঘটনা খুবই লজ্জার।এই ঘটনা নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দেন ।
বর্ধমান পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগের নতুনপল্লী এলাকায় বাড়ি তুহিনা খাতুনের (১৮)। ২ মার্চ পুর ভোটের ফল ঘোষণার পর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। সে বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।বোনের মৃত্যুর জন্য ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিার কাউন্সিলর বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের দায়ীকরে বর্ধমান থানার অভিযোগ দায়ের করেন দিদি কুহেলী বিবি । অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত কাউন্সিলর বসির আহমেদ এখনও বহাল তবিয়তেই খুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ । তা নিয়ে অধীর চৌধুরীর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার পরিবার । এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, ‘বাংলায় এখন এমন জঙ্গলরাজই চলছে । সরকার ,প্রশাসন ও তৃণমূলের মদত রয়েছে বলেই তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারছে ।’।