এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০২ মার্চ ২০২২ : কাটোয়া পুরসভার ভোটে ৪ ওয়ার্ডে কংগ্রেস ও একটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থীর জয় নিয়ে দলেরই একাংশকে দূষছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মণ্ডল আজিজুল। মণ্ডল আজিজুলের মেয়ে মাসুদা খাতুন কাটোয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন।জেলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কারের মাঝে মাসুদা খাতুন বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রার্থীর কাছে। বুধবার ভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ওই ওয়ার্ডে যেখানে কংগ্রেসের প্রার্থী সুনীতা ঘোষ পেয়েছেন ১১১৭ টি ভোট। সেখানে মাত্র ২২২ টি ভোট পেয়েছেন মাসুদা খাতুন। তার এই পরাজয়ের জন্য দলের মধ্যে অন্তর্ঘাতকে দায়ী করেছেন মণ্ডল আজিজুল। তিনি বলেন,” যে নব্য তৃণমূল কর্মীরা রাতারাতি গজিয়ে ওঠা কংগ্রেসের প্রার্থীদের জেতানোর জন্য পুরানো দিনের কর্মীদের হারালো তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আবেদন রাখবো।দলের মধ্যে থেকে যারা দলের ক্ষতি করছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার।”
কাটোয়ায় রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত মণ্ডল আজিজুল ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির আর এক সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটে কাটোয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরেছেন অরিন্দম। রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো। পাশাপাশি ১ নম্বর ওয়ার্ডে হেরেছেন তৃণমূলের মাসুদা খাতুন।
উল্লেখ্য, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডেও হেরেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ওই দুই ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস। এছাড়া কাটোয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গোরক চৌধুরী আবার ৯৬ ভোট পেয়ে রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দলের সুজয় মৈত্র ১৫৪৬ টি ভোট পেয়েছেন। সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ২৮৫ টি ভোট।বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ২০৫ টি ভোট।সেখানে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৯৬।
কাটোয়ার ১,২,৬,১১ এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডের যারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তারা দলেরই অন্তর্ঘাতের শিকার বলে অভিযোগ তুলেছেন মণ্ডল আজিজুল ও অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করেই তারা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় গোষ্ঠীর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। এনিয়ে শাসক শিবিরে রয়েছে অস্বস্তি। কাটোয়া পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়ের মাঝেই ওই ৫ ওয়ার্ডের পরাজয় একপ্রকার জয়ের মুকুটে কাঁটা রয়ে গেল। আর এই কাঁটাই কাটোয়ার বুকে রাজনৈতিক জটিলতা ও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, চার ওয়ার্ডে কংগ্রেসের জয় তৃণমূলের দুর্বলতা। তার যথাযথ পর্যালোচনা করা হবে।।