এইদিন ওয়েবডেস্ক,পিরোজপুর(বাংলাদেশ),২৭ ফেব্রুয়ারী : পড়াশোনার সুবিধার জন্য দিদির বাড়িতে থাকতো বোন । ক্রমে জামাইবাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে সে জড়িয়ে পরে । তারপর পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে জামাইবাবুকে । থানায় ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও দায়ের হয় । শেষ পর্যন্ত বোন আর স্বামীকে মামলার হাত থেকে রক্ষা করতে নিজের বোনকেই সতীনের স্বীকৃতি দিলেন দিদি । বাংলাদেশের পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের ঘটনা ।
জানা গেছে,বছর পাঁচেক আগে উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের বাসিন্দা কালিপদ সিকদারের মেয়ে রূপালি গাইনের (২৫) সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল কাঁঠালিয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজিত গাইনের । সুজিত ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। বর্তমানে তাঁদের ৪ ও ২ বছরের সন্তান রয়েছে ।
রূপালি গাইনের ভাই জয়দেব বলেন,সুজিত গাইনের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগে বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম । সেই সুবাদে আমার ছোট বোন স্বর্ণালী তাদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত । ওই বাড়িতে থাকায় ধীরে ধীরে সুজিতের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বর্ণালী । বিষয়টি জানতে পেরে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি ।
জানা গেছে,শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কালিপদ সিকদার স্থানীয় নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগে তিনি জানান তাঁর ছোট মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে জামাই সুজিত । অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সপ্তাহ খানেক আগে সুজিত গাইন তাঁর শ্যালিকাকে বিয়ে করে পৃথক জায়গায় দিব্যি ঘরকন্না করছে । একদিকে ছোট বোনের বদনাম ও স্বামীকে আইনের জালে ফাঁসতে দেখে তাঁদের বাঁচাতে আসরে অবতীর্ণ হন সুজিত গাইনের প্রথমা স্ত্রী রূপালিদেবী । তিনি জানিয়ে দেন বোনকে নিয়ে একই ঘরে সংসার করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই ৷
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন,’মেয়ের বাবা একটা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন । আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়কে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিলাম । এই বিয়েতে সকলেই সম্মতি দিয়েছেন । দুই বোন একসঙ্গে ঘর-সংসারও করবেন বলে জানিয়েছেন । এনিয়ে কোনও কোনও মামলা রজু হয়নি ।’।