শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),২১ ফেব্রুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে এক আদিবাসী যুবকের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় । বছর ত্রিশের ওই যুবকের নাম লক্ষ্মী হাঁসদা । সোমবার সকালে মন্তেশ্বর ব্লকের জামনা অঞ্চলের সেলিয়া গ্রামে এক কৃষকের খামারবাড়ি থেকে ওই যুবককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । যুবকের মৃত্যুর কারন নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,সেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক কাজল হাজরার খামারবাড়িতে থাকেন মারাং কুরি বছর পঞ্চাশের এক মহিলা । তাঁর বাড়ি ঝাড়খন্ডে । দিন পনেরো আগে ওই মহিলার কাছে এসে থাকতে শুরু করে লক্ষ্মী হাঁসদা । কাজল হাজরা বলেন, ‘ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা শারিরীকভাবে অসুস্থ । তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত । তাই মানবিকতার খাতিরে আমার খামার বাড়িতে থাকতে দিয়েছি । কিন্তু দিন পনেরো আগে তার সঙ্গে এসে জোটে লক্ষ্মী হাঁসদা । সে নিজেকে ওই মহিলার প্রাক্তন স্বামী পরিচয় দেয় । তাই তার থাকার বিষয়ে আমরা কেউ আপত্তি করিনি । কিন্তু ওই যুবক দিন রাত প্রচুর মদ্যপান করতেন ।’
কাজলবাবু জানান, রবিবার তাঁর এক বউদি মারা গেছেন । রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ বউদির মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি আনা হয় । তারপর দাহকার্যের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নবদ্বীপ শ্মশানে । তাঁরা শ্মশানে যাবার আগে লক্ষ্য করেন মদের নেশায় চুর হয়ে আছে লক্ষ্মী । তারপর দাহ সেরে এদিন সকালে সাড়ে ৫ নাগাদ বাড়ি ফিরে এসে দেখেন ওই যুবক মরে পড়ে আছেন ।
জানা গেছে,যুবককে খামারবাড়িতে মরে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন কাজলবাবুরা । এরপর খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । কিন্তু কিভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হলে এনিয়ে ধন্দ্বে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে পুলিশ ।।