এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,১৯ ফেব্রুয়ারী : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে টার্গেট করেছে রাশিয়া । শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে একটি মিডিয়া ভাষণে এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসেডেন্ট জো বাইডেন । তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে আমি নিশ্চিত যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউক্রেন আক্রমণ করার । আমাদের এই আশঙ্কার কারণ আছে । আমি নিশ্চিত যে আগামী দিনে ইউক্রেন আক্রমণ করতে চলেছে রাশিয়ান বাহিনী । আর তাঁরা প্রথমে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে টার্গেট করবে ।’ সেই সঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেন,রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনা পাঠাবে না আমেরিকা । তবে তাঁরা ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন । তিনি কূটনীতিকভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য রাশিয়ার কাছে আহ্বান জানান । কিন্তু সব কিছু উপেক্ষা করেও যদি রাশিয়ার আগ্রাসন চালিয়ে যায় তাহলে পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত বলে ফের সতর্ক করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ।
এদিকে বৃহস্পতিবার পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেটস্কে
রুশপন্থী এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় । যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ব্যাপকহারে বোমাবর্ষণ চলছে বলে জানা গেছে । ইউক্রেনের অভিযোগ সরকার নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে এক কিন্ডারগার্টেনের ওপর বোমাবর্ষণ করা হয়েছে ।মার্কিন প্রশাসন আশঙ্কা করছে এবার যে কোনো অছিলায় ইউক্রেনের ওপর হামলা করতে পারে রাশিয়া । ওয়াশিংটন দাবি করেছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে । এরই মধ্যে রাশিয়া ঘোষণা করেছে প্রেসিডেন্ট পুতিন নতুন পরমাণু মহড়ার তদারকি করবেন । রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়ায় একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুশীলন করা হবে । রাশিয়া অবশ্য এখনো দাবি করে চলেছে যে, ইউক্রেনের ওপর হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের ।
এদিকে ডোনেটস্কের রুশপন্থী নেতা ডেনিস পুশিলিন জানিয়েছেন, সামনে সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই তারা নারী, শিশু এবং বয়স্ক বেসামরিক নাগরিকদের রাশিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন । শুক্রবার থেকেই বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে তিনি জানান । পূর্ব ইউক্রেনে সংঘর্ষের ঘটনাকে ‘খুবই ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছে রাশিয়াও ।
এদিকে চরম উত্তেজনা সত্ত্বেও কূটনৈতিক তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না । শুক্রবার কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, রোমানিয়া, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করর কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের । এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন জার্মানির মিউনিখ শহরে নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে এসেও একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর । ইউক্রেনের ওপর হামলা না ঘটলে তিনি চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।।