এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,১৭ ফেব্রুয়ারী : রাতে দুধ পান করে ঘুমতে যাওয়া অভ্যাস স্বামীর । তাই দুধ আনার জন্য স্ত্রীকে বলেছিলেন । এদিকে ৫ বছরের কন্যাসন্তান খিদের জ্বালায় কান্নাকাটি করছিল । তাই স্বামীর আগে মেয়েকে দুধ দিতে গিয়েছিলেন বধু । আর এই অপরাধের জন্য স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী । গত মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদের করঞ্জ(Karanj) এলাকায় । যদিও আইনত তিন তালাক নিষিদ্ধ । তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বছর একত্রিশের ওই বধু । তিন তালাক দেওয়া ছাড়াও ওই গৃহবধু অতিরিক্ত পনের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে,২০০৮ সালে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় ওই মহিলার । শ্বশুরবাড়ির দাবি মত বরপন দিয়েছিল বধুর বাবা । বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির সাথে তিনি নাদিয়াদে (Nadiad) গিয়ে থাকতে শুরু করেন । কিন্তু বধুর স্বামী বেকার । বধুর অভিযোগ, সময় যত গড়াতে থাকে স্বামীর বেকারত্বের কারনে ততই বাড়িতে অশান্তি বাড়তে থাকে । আর তার জেরে স্বামী,শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে । বধুর কথায়, ‘এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে দাবি উঠতে থাকে আমায় বাপের বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে দিতে হবে । আর সেই টাকা এনে না দেওয়ায় অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে । শেষে একটা তুচ্ছ অছিলায় গত মঙ্গলবার রাতে আমায় তিন তালাক দিয়ে দেয় আমার স্বামী ।’
জানা গেছে,ঘটনার দিন রাতে বধুর পাঁচ বছরের মেয়ে দুধ এবং কুকিজ খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেছিল । তাই তিনি মেয়েকে দুখ পান করাতে গিয়েছিলেন । এদিকে তখন বধুর স্বামীও গরম দুধ আনার জন্য বলেন । কিন্তু বধু তখন মেয়েকে খাওয়াতে ব্যাস্ত থাকায় স্বামীকে দুধ দিতে পারেননি । আর এই অপরাধেই ক্ষিপ্ত স্বামী বধুকে তিন তালাক দিয়ে দেয় । তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন আত্মীয়স্বজন এবং বধুর শ্বশুর-শাশুড়ি । তাঁদের অনুরোধেও মন গলেনি স্বামীর । তাই বাধ্য হয়ে রাতেই আহমেদাবাদে ফিরে এসে এনিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান বধু ।।