এইদিন ওয়েবডেস্ক,জাকার্তা,১৬ ফেব্রুয়ারী : আবাসিক মাদ্রাসায় ধর্ষিতা ১৩ জন নাবালিকা ছাত্রী । তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ৮ জন । জন্ম দেয় ৯ টি সন্তানের । ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ায় । আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত খোদ মাদ্রাসার মালিক তথা শিক্ষক হেরি উইরাওয়ান । ঘটনার কথা চাওড় হতেই অভিযুক্তকে রাসায়নিক প্রয়োগ করে নপুংসক করে দেওয়ার দাবি উঠেছিল দেশ জুড়ে । পুলিশ ধৃতকে গ্রেফতার করে একাধিক ধারায় মামলা রজু করে আদালতে তুললে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল । এতদিন জেলেই ছিল অভিযুক্ত । মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং জেলা আদালতে অভিযুক্তকে দোষী সব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক । তবে নপুংসক করে দেওয়ার আবেদন আদালত প্রত্যাখ্যান করেছেন ।
ইন্দোনেশিয়া সংবাদ মাধ্যম সুত্রে জানা গেছে, দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নাম করে উইরাওয়ান তাঁর আবাসিক মাদ্রাসায় ভর্তি করতেন । ভর্তি হওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করতো । বছরে মাত্র একবার বাড়ি যেতে দিত । ফলে বাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ থাকতো না পড়ুয়াদের । আর এস সুযোগে আবাসিক ছাত্রীদের রাতে পালা করে ধর্ষণ করত গুনধর শিক্ষক হেরি উইরাওয়ান । ২০১৬ সাল থেকে এভাবে সে ১৩ ছাত্রী ধর্ষণ করে আসছে । ধর্ষিতাদের প্রত্যেকের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে । এতদিন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি । কিন্তু গত বছরের মে মাসে ৮ জন ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পারে নির্যাতিতাদের পরিবার । এরপর তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । জানা গেছে,নির্যাতিতাদের প্রত্যেককে সাড়ে ৮ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপিয়া (প্রায় ৬ হাজার ডলার) পর্যন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার ।।