প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যে ইতিমধ্যেই যে কটি পুরসভার নির্বাচন হয়েছে তার সবকটাতে তৃণমূলেরই জয় জয় কার। আর তৃণমূলের এই জয়কে ভোট লুটের জয় বলে দাবি করে স্বোচ্চার হয়েছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী হবে বর্ধমান সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার ৬ টি পুরসভার ভোট।তার প্রক্কালে মঙ্গলবার ভোট লুট নিয়ে বর্ধমানের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জী। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু সিপিএমের যুব নেত্রীর এই হুঁশিয়ারিকে পরাজয়ের আগে মান বাঁচানোর কৌশল বলে কটাক্ষ করেছেন ।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দিগ্রামের আশনে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে ছিলেন মীণাক্ষী মুখার্জী । ভোটে পরাজিত হলেও সেই থেকে বাংলার রাজনীতিতে মীণাক্ষী এখন পরিচিত মুখ। বর্ধমানের পুর ভোটে সেই মীণাক্ষীকে লড়াইয়ের মুখ হিসাবে সামনের সারিতে রেখেছেন সিপিএম নেতৃত্ব ।এদিন বিকালে বর্ধমানের মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে দাঁড়িয়ে যুব নেত্রী মীনাক্ষী বলেন,’বিগত যে কটি পুর ভোট হয়েছে সেই ভোটকে আমরা রক্ষা করতে পারি নি ।’ তাই বর্ধমান পৌরসভার ভোটে ভোট লুট আটকানোর জন্য তিনি তাঁর দলের কর্মী ও বাড়ির মা বোনেদের তৈরি হওয়ার কথা বলেন । একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন বহিরাগতরা ভোট লুট করতে এলে যে পুলিশ তাদের সহযোগীতা করবে সেই সব পুলিশ ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই অফিসেই থাকবে ।বাইরে বের হতে দেবেন না । কারণ ওদের কাজ ওরা রাস্তায় করতে পারবে না । তাই ওদের অফিসেই রেখে দিন“ । দলের কর্মী ও সমর্থক দের উদ্দেশ্যে মীনাক্ষী আরও বলেন, এলাকার তৃণমূলের গুণ্ডা দুস্কৃতিরা যারা ভোট লুট করতে আসবে তাদের দাপটের সঙ্গে বলুন, ’এক মাঘে শীত যায় না ।আজ ভোট লুট করতে এসেছ । কালকে এই পাড়া দিয়েই হেঁটে যেতে হবে । তখন পা নিয়ে হাঁটতে পারবে না ।’
৷ রাজ্যে পুর নির্বাচনকে প্রহসন করে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে এদিন প্রতিবাদে সামিল হয় বর্ধমানের সিপিআইএম নেতা ও কর্মীরা।তারা দলের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জীর নেতৃত্বে পদযাত্রায় অংশ নিয়ে বিকালে বর্ধমানের মহকুমাশাসকের দপ্তরে সামনে হাজির হয় । সেখানে হওয়া সমাবেশেও বক্তব্য রাখেন মীণাক্ষী।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী দাবি করেন ,’রাজ্যের চার কর্পোরেশনের ভোটে ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। মৃত মানুষও ভোট দিয়েছেন। ভোটের দিন পিস্তল; মেশিন নিয়ে গুণ্ডারা দাপিয়ে বেড়িয়েছে ।এর নামই কি ভোট? বর্ধমানে পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন,বর্ধমানে পুর পরিষেবা তলানিতে পৌছেছে। সময়ে এই পুরসভার ভোট যেমন হয়নি ,তেমনই হয় নি কর্মী নিয়োগও ।’মীণাক্ষী মুখার্জী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান পৌরসভার ভোট শান্তিতে করাবার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি রাখেন ।।