এইদিন ওয়েবডেস্ক,এডিনবরা,১৫ ফেব্রুয়ারী : মদ্যপবস্থায় নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করে চাকরি খোয়ালেন স্কটল্যান্ডের শারিরীক শিক্ষার এক শিক্ষিকা । মেলিসা টুইডি(Melissa Tweedie) নামে বছর সাতাশের ওই শিক্ষিকার নাম শিক্ষণ রেজিস্টার থেকে সরিয়ে দিয়েছে স্কটল্যান্ডের জেনারেল টিচিং কাউন্সিল(General Teaching Council for Scotland) । মেলিসা টুইডি স্কটল্যান্ডের রেনফ্রুশায়ারের পেসলির গ্লেনিফার হাইস্কুলে(Gleniffer High School in Paisley of Renfrewshire) শরিরীক শিক্ষার শিক্ষিকা ছিলেন । ২০১৭ সালের জুনে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে স্কুলের পড়ুয়াদের গ্লাসগো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । ওই দলে ছিলেন মেলিসা টুইডি । গ্লাসগোর প্রিমিয়ার ইন হোটেল (Premier Inn hotel) উঠেছিল দলটি । পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য ছিল পৃথক ঘর ।
শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ,ঘটনার দিন রাতের খাবার খাওয়ার পর তিনি মদ্যপবস্থায় ১৮ বছরের ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীনভাবে নাচছিলেন । তারপর তিনি পড়ুয়ার রুমে চলে যান । রাতভর পড়ুয়ার সঙ্গে এক বিছানায় ছিলেন মেলিসা টুইডি । রাতে ছাত্রের সঙ্গে তিনি যৌন সঙ্গম করেন বলে অভিযোগ । ঘটনার সময় শিক্ষিকার বয়স ছিল ২২ বছর । পড়ুয়ার বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর ।
অভিযোগ উঠতেই স্কটল্যান্ডের জেনারেল টিচিং কাউন্সিলের একটি প্যানেলের উপর বিষয়টি নিষ্পত্তির দায়িত্ব বর্তায় । পাঁচ দিন ধরে শুনানি চলে । ছাত্র ও শিক্ষিকা উভয়ের বয়ান নেওয়া হয় । প্যানেলের সদস্য আর্থার স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন,পড়ুয়া স্বীকার করেছে যে ওই রাতে তার ঘরে গিয়ে ওয়াইন, জিন,শট এবং বিয়ার পান করেছিলেন মেলিসা টুইডি । তিনি ছাত্রকে প্রেম চুম্বন করেছিলেন । তারপর তারা রাতভর যৌন সঙ্গম করেছিলেন । পরের দিন শিক্ষিকা হোটেল থেকে বেড়িয়ে যান ।’
অন্যদিকে নাবালক পড়ুয়ার সঙ্গে যৌনসঙ্গমের অভিযোগ অস্বীকার করে মেলিসা টুইডি জানান, তিনি শুধু ওই ছাত্রকে চুম্বন করেছিলেন । যৌন সঙ্গম করেননি । তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে । সেই সঙ্গে তিনি জিটিসিপির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন । তবে শিক্ষিকার দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি ঘটনার তদন্তকারী সদস্যরা । সোমবার শিক্ষিকাকে দোষী সব্যস্ত করে শিক্ষণ রেজিস্টার থেকে ওই শিক্ষিকার নাম সরানোর প্রস্তাব করেছে প্যানেলটি । তবে পুনরায় আবেদন করার জন্য তাঁকে দু’বছর সময় দেওয়া হয়েছে । যদিও বর্তমানে ওই শিক্ষিকা দুবাইয়ের একটি স্কুলে কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।।