এইদিন ওয়েবডেস্ক,চাঁচল(মালদা),১৪ ফেব্রুয়ারী : আড়তদারকে চাষের টম্যাটো বিক্রি করেছিলেন এক কৃষক । লাখ খানেক টাকা পাওনা ছিল । সেই টাকা দেওয়ার নাম করে ডেকে এক কৃষক ও তাঁর ছেলেকে বেদম মারধর করে ৫৫ হাজার টাকা লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠল এক আড়তদারের বিরুদ্ধে । সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচল কৃষিমান্ডিতে । এনিয়ে আড়তদার ঝান্ডি শেখ,তাঁর তিন ছেলে সাকিল,জলিল ও ভোম্বলসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রহৃত কৃষক শেখ ইয়াসিন ( ৫৫) ও তাঁর ছেলে শেখ রশিদ (৩৩) । জানা গেছে,অভিযোগকারী কৃষকের বাড়ি রতুয়া থানার বাহারালের বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে । মূলত শাকশব্জি চাষ করে সংসার চালান ওই কৃষক । অন্যদিকে চাঁচল থানার খেলেনপুর এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত ঝান্ডি শেখ । চাঁচল কৃষিমান্ডিতে তাঁর শাকশব্জির আড়ত রয়েছে । এলাকার সিংহভাগ কৃষক তাঁর আড়তে এসে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করেন বলে জানা গেছে ।
শেখ রশিদের বলেন,’এবারে আমরা টম্যাটো চাষ করেছিলাম । উৎপাদিত টম্যাটো মুর্শিদাবাদ জেলার এক আড়তদার ও ঝান্ডি শেখের কাছেই বিক্রি করা হচ্ছিল । কিন্তু ঝান্ডি শেষ বেশ কিছুদিন ধরে মাল নিয়ে টাকা দিচ্ছিল না । প্রায় এক লক্ষ টাকা পাওনা আছি তাঁর কাছ থেকে ।’ তাঁর কথায়, ‘এদিন টাকা দেবো বলে আমাদের ডেকেছিলেন ঝান্ডি শেখ । তখন আমি সবেমাত্র মুর্শিদাবাদ থেকে ফিরেছি । পকেটে টম্যাটো বিক্রি বাবদ পাওয়া ৫৫ হাজার টাকা ছিল । ওই টাকা নিয়েই আমি চাঁচল কৃষিমান্ডিতে ঝান্ডির আড়তে যাই । কিন্তু আমি যেতেই ওই আড়তদার আমাকে অকারণ ধাক্কাধাক্কি ও চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করে । আমাকে বেঁধে রাখবে বলে শাসায় । তখন আমি আমার বাবাকে ফোন করি । ঝান্ডি আমার বাবাকে কৃষিবাজারে আসতে বলে । সে আমার বাবাকেও বেঁধে রাখবে বলে শাসায় ।’ তাঁর অভিযোগ, ‘তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে বাবা চলে এলে ঝান্ডি,তাঁর ৩ ছেলে সাকিল,জলিল,ভোম্বলসহ ১০-১২ জনের একটি দল আমদের উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে । ওরা আমার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয় । তারপর আমরা থানায় অভিযোগ জানাই ।’যদিও মারধর ও টাকা লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আড়তদার । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।