এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইংরেজবাজার(মালদা),১১ ফেব্রুয়ারী : ভোট প্রচারের জন্য দু লক্ষ টাকা না দেওয়ায় এক হোটেলের মালিকের স্ত্রীকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল মালদা জেলার ইংরেজবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী কাকলি চৌধুরী,তাঁর স্বামী পরিতোষ চৌধুরী ও তাঁদের সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে । শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপল্লী এলাকায় । অন্যদিকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার পালটা মারধর ও গালাগালি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নির্দল প্রার্থীর স্বামী ।
জানা গেছে,কৃষ্ণপল্লী এলাকায় একটি হোটেল রয়েছে শংকর চৌধুরী নামে জনৈক এক ব্যক্তির । হোটেলের ঠিক পিছনেই কয়েকটি পরিবার ঝুপড়ি করে বসবাস করে । তা নিয়ে হোটেল মালিকের সঙ্গে ঝুপড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছে । শংকরবাবুর স্ত্রী রিমা চৌধুরি বলেন, ‘প্রায় ১৭ বছর ধরে আমাদের হোটেল রয়েছে । এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি । কয়েক বছর আগে কয়েকটি পরিবারকে অসহায় অবস্থায় দেখে মানবিকতার খাতিরে হোটেলের পিছনে ফাঁকা জায়গায় থাকাতে দিয়েছিলাম । তাঁরা ঝুপড়ি করে সেখানে বসবাস করছিল । কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করছি তারা আমার জায়গা দখলের চেষ্টা করছে । তাই নির্দল প্রার্থী কাকলি চৌধুরী ও তাঁর স্বামী পরিতোষ চৌধুরীর দ্বারস্থ হয়েছিলাম । উলটে তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা পুর ভোটের প্রচারের জন্য আমাদের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা দাবি করে বসে । টাকার জন্য তারা রাত বিরেতে যখন তখন বাড়িতে এসে চড়াও হচ্ছিল । তাই এদিন কাকলিদেবীরা ভোটের প্রচারে এলাকায় এলে এনিয়ে বলতে যাই । তখন তাঁরা আমার কোনও কথা না শুনে উলটে আনার উপর সমবেতভাবে হামলা করে । কাকলিদেবী আমায় জুতো খুলে মারে । পরিতোষবাবু আমার পরনের শালোয়ার ছিঁড়ে দেয় ।’ অন্যদিকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিতোষ চৌধুরী । তাঁর অভিযোগ, ‘আমাদের দুর্নাম করার জন্য এই সব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে । ওই মহিলা আমাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন । মনে হয় কারোর প্ররোচনায় উনি এই সমস্ত কাজ করছেন ।’
জানা গেছে,এদিন দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ কৃষ্ণপল্লী এলাকায় ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন কাকলি চৌধুরী । সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী পরিতোষ চৌধুরী ও তাঁদের কয়েকজন অনুগামী । তাঁরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রিমা চৌধুরি পাশ দিয়ে যেতেই অশান্তি বেধে যায় । বচসা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয় । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । পরে উভয়পক্ষই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান । দু’পক্ষই জানিয়েছেন তাঁরা এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন । যদিও এদিন দুপুর পর্যন্ত এনিয়ে থানায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে ।।