এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৯ ফেব্রুয়ারী :
কর্তব্যরত চিকিৎসককে প্রকাশ্যে হেনস্থার পর সপাটে চড় মারার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল মালদা মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে । অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে ঘিরে বুধবার তুমুল বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা । খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । অবিলম্বে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নিগৃহীত চিকিৎসকসহ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা ।
জানা গেছে,এদিন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন চিকিৎসক সৌভিক সাহা । সেই সময় একটা ফোন আসায় আউটডোর থেকে মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন । ঠিক সেই সময় আউটডোরের সামনে মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে কয়েকজন আসামিকে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করাতে আসেন ইংরেজবাজার থানার পুলিশ কর্মী রাম রায় । সামনে পড়ে যান সৌভিকবাবু । আর তখনই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে সপাটে চড় কষিয়ে দেন বলে অভিযোগ ।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা । তাঁরা ওই পুলিশকর্মীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । এদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসককে চড় মারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুলিশ কর্মী রাম রায় । তাঁর দাবি,’আসামী নিয়ে যাবার সময় সামনে চলে আসেন ওই ব্যক্তি । আমি তাঁকে সরে যেতে বলেছিলাম । এমনকি আসামীরাও তাঁকে সরতে বলে । কিন্তু উনি উলটে মেজাজ দেখাতে শুরু করেন । তাই ওনাকে আমি চড় মেরেছি । তবে উনি যে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক তা আমার জানা ছিল না । পরে জেনেছি । আমি মনে করেছিলাম কোনও সাধারণ মানুষ ।’
কিন্তু একজন সাধারন মানুষকে এভাবে প্রকাশ্যে চড় মারার এক্তিয়ার কি কোনও পুলিশকর্মীর আছে ? এর উত্তরে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী রাম রায়ের সাফাই, ‘আমার সঙ্গে কয়েকজন বাংলাদেশী আসামি ছিল । ওই সময় তাদের মধ্যে যদি কেউ পালিয়ে যেত তাহলে তার দায় কার হত ?’