প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩১জানুয়ারি : জমির আসল মালিক অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। সেই মৃত ব্যক্তির হয়ে অন্যকে জমির মালিক সাজিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক প্রৌঢ়। ধৃতের নাম স্বপন কর্মকার।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কেরিলি গ্রামে। জামালপুর থানার পুলিশ শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, জামালপুর থানার বাতপুরে বসবাস করেন শঙ্কর মিস্ত্রি। স্থানীয় নবগ্রাম মৌজায় তাঁর ১৫ কাঠা জমি রয়েছে। ওই জমির লাগোয়া ১২ কাঠা জমি বিক্রি হবে বলে শঙ্করবাবু জানতে পারেন। তারপর তিনি জমির মালিকানার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন ।বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন জমিটির মালিক শান্তিজ্যোতি মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি । এরপর কয়েক দিন বাদেই শঙ্করবাবুর কাছে দু’জন আসে। তারা জমিটি শঙ্করকে দেখায়। তাদের কাছে শঙ্করবাবু জমিটি কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। কিছুদিন পর ওই দু’জন তাঁর কাছে আরও একজনকে নিয়ে গিয়ে দাবি করেন ইনি জমির মালিক শান্তিজ্যোতি ।তার সঙ্গে আলোচনার পর জমির মূল্য ঠিক হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। অগ্রিম বাবদ শঙ্করবাবু ১৩ হাজার টাকা তাকে দিয়ে দেন । এরপর কয়েক দফায় ওই জমির মূল্য বাবাদ ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ মেটিয়ে দিয়ে শঙ্করবাবু জমি তাঁর নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য বলেন ।তখন নানা অছিলায় অভিযুক্তরা রেজিস্ট্রি করা এড়িয়ে চলে। কিছুদিন পর জমির দখল নিতে গিয়ে শঙ্কর জানতে পারেন, ২০ বছর আগে জমির মালিক মারা গিয়েছেন।ভূয়ো ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে অন্যরা তার কাছে নিয়ে গিয়েছিঢ় । বিষয়টি শোনার পর প্রতারিত হয়ছেন বুঝতে পেরে শঙ্করবাবু বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন । আদালত কেস রুজু করে তদন্তের জন্য জামালপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ মেনে ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ প্রতারক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে ।।