এইদিন ওয়েবডেস্ক,আসানসোল,১৭ ডিসেম্বর ঃ জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির কার্যালয়ের দখল নিল তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মীরা । বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা যায় পাণ্ডবেশ্বরের হরিপুর এলাকায় বিধায়কের কার্যালয়ের বোর্ড খুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড আলাদাভাবে টাঙানো হচ্ছে ।
এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই এদিন সন্ধ্যা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখীমুখি হয়ে এর তীব্র নিন্দা করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারী । তিনি বলেন, “আমি তো ভেবেছিলাম আগামীকাল দিদির সঙ্গে দেখা করে আমার কথা বলবো। তারপর উনি যা বলবেন সেটা করবো । কিন্তু আমি প্রশাসক পদ ছাড়ার আধ ঘন্টা পরেই পান্ডবেশ্বরে আমার যে বিধায়ক কার্যালয় ছিল সেখানে বেশ কিছু দুষ্কৃতি পাঠিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে । জিনিষপত্র তুলে নেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি সবটাই কলকাতার নেতারা করিয়েছেন । ওরা চাইছেন না যে আমি দলে থাকি । তাই জেলা সভাপতির পদ ও তৃনমুল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম ।’ তবে দলত্যাগের কথা ঘোষনা করলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি জিতেন্দ্র তিওয়ারি । তিনি বলেন, ‘মানুষ আমায় বিধায়ক নির্বাচিত করেছেন । তাই মানুষ যা বলবেন তাই করবো ।’
জানা গেছে,এদিন পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিধায়ক কার্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয় । সঙ্গে ছিলেন কেকেএসসির কর্ণধার হরেরাম সিং, হরিপুর পঞ্চায়েত সদস্যা ভজনা বাদ্যকর সহ দলের কর্মী ও সমর্থকরা ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘এক ঘন্টা আগে আমি ভালো লোক ছিলাম । কিন্তু যেই আসানসোলের ভালোর কথা বললাম সেই কিছু অসামাজিক লোকজন পাঠিয়ে আমার নিজের বানানো কার্যালয় ভাঙচুর ও জিনিষপত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হল । পুলিশ বসে বসে দেখেছে । কার্যালয়টা মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমি নিজে বানিয়েছিলাম । কেউ তৈরি করে দেয়নি । কিন্তু কি করা যাবে ? আমি তো আর অসামাজিক মানুষের সঙ্গে লড়াই করতে পারি না ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘একদিকে আলোচনার জন্য দরজা খুলে রাখবেন অন্যদিকে অফিস দখল করবেন,এই দুটো তো একসঙ্গে চলতে পারে না । তাই আমি দল ছাড়লাম ।’