এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২০ জানুয়ারী : বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ‘ধর্ম নিন্দামূলক’ একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন এক মহিলা । আর সেই অপরাধে বুধবার তাঁকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিল পাকিস্তানের একটি আদালত । ফারুক হাসনাত নামে এক ব্যক্তির দ্বারা ২০২০ সালে দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালত অনিকা আত্তিক (Anika Attique) নামে ওই মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে । মহিলার বিরুদ্ধে ইসলামের অবমাননা এবং সাইবার ক্রাইম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল ।
আদালত সুত্রে জানা গেছে,অনিকা এবং ফারুক বন্ধু ছিলেন । কিন্তু ঘটনার কিছু দিন আগে থেকে দুজনের মধ্যে মতপার্থক্য শুরু হয় । তখন অনিকা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ ‘ধর্ম নিন্দামূলক’ একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন । এরপর ফারুক তর বিরুদ্ধে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এর সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন । গ্রেফতার করা হয় অনিকা আত্তিককে ।
উল্লেখ্য,পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন(Blasphemy law) ১৯৮০-এর দশকে প্রণয়ন করেছিলেন প্রাক্তন সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউল হক । এই আইনের অধীনে মৃত্যুদন্ডের সাজা নেই । কিন্তু এই আইনকে ভূলভাবে কাজে লাগিয়ে এযাবৎ বহু মানুষের প্রাণ নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানে । গত বছর শিয়ালকোট শহরের একটি কারখানার ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত একজন শ্রীলঙ্কান ব্যক্তিকে ধর্মনিন্দার অভিযোগ তুলে পিটিয়ে ও জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল একদল উত্তেজিত জনতা ।।