এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়,১৬ ডিসেম্বর : ‘বঙ্গধ্বনী যাত্রা’ কর্মসুচীতে বেড়িয়ে নতুন নতুন ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে ভাতাড়ের বিদায়ী বিধায়ক সুভাষ মন্ডলকে । কখনও তিনি রান্না ঘরে ঢুকে উনানে কাঠের জ্বালানি দিয়ে গৃহিনীকে রান্নার কাজে সাহায্য করছেন । কখনও কৃষকদের সঙ্গে খামারে ধান ঝাড়তে দেখা যাচ্ছে তাঁকে । বিধায়কের অনুগামীদের পোস্ট করা ওই সমস্ত ছবি দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । তবে মঙ্গলবার সম্পুর্ন ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল সুভাষবাবুকে ।
ওই দিন ভাতারের আমারুন-২ অঞ্চলের কুবাজপুর বাসস্ট্যান্ডে ‘বঙ্গধ্বনী যাত্রা’য় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ মন্ডল । সেই সময় বাজারের কয়েকজন ব্যাবসায়ী এক জায়গায় বসে তাস খেলছিলেন । বিধায়কের নজরে পড়ে গেলে তিনি সটান তাসের আসরে গিয়ে বসে পড়েন । তারপর কিছুক্ষন ধরে তাঁকে তাস খেলতে দেখা যায় । অবশ্য তাস খেলতে বসার আগে কুবাজপুর বাসস্ট্যান্ডের দোকানে দোকানে ঘুরে ব্যবসায়ীদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে জানতে চান বিধায়ক । তারপর কখনও চায়ের দোকানে ঢুকে চা তৈরি করা,কখনও আবার কাঠমিস্ত্রির দোকানে ঢুকে কাঠের কাজ করতে দেখা যায় সুভাষবাবুকে ।
সুভাষ মন্ডলের এক অনুগামীর কথায়, ‘দাদা,সহজ সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাই সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে মিশতে তাঁর কোনও অসুবিধা হয় না ।’ তবে অনুগামীরা যাই বলুক না কেন, দলীয় কর্মসুচীতে ভাতাড়ের বিধায়ককে নতুন নতুন ভুমিকায় দেখতে পাওয়ার ঘটনাকে ‘পলিটিক্যাল গিমিক’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি । বিজেপির ভাতার ৩৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার হাজরা বলেন, ” এভাবে তাসের আড্ডায় বসে মানুষের উন্নয়ন করা যায় না। মনও পাওয়া যায় না। এটা পলিটিক্যাল গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয় ।’