জহিরুল হক,মঙ্গলকোট,০৮ জানুয়ারী : ভারতে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ এসে পড়েছে। দিন দিন করোনা লাগাম ছাড়া হয়ে পড়ছে। আক্রান্ত রুগীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক লক্ষের কাছাকাছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গও করোনা আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এখানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার ছুঁই ছুঁই। সবদিক লক্ষ্য রেখে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রথমে মৌখিকভাবে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পশ্চিমবঙ্গে আংশিক লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও মানুষকে বারবার সচেতন হওয়ার কথা বলছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশ কে সামনে রেখে মঙ্গলকোট বিধানসভার বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট থানার আই.সি পিন্টু মুখার্জি, মঙ্গলকোট সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জগদীশচন্দ্র বারুই এবং মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার সহ আরো অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা গত ৭ ই জানুয়ারি মঙ্গলকোটের নতুনহাটে সাধারণ মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। পথচলতি সাধারণ মানুষকে তারা মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা কতটা জরুরি সেই সম্বন্ধে বোঝান। করোনা রোগ নিয়ে যাতে মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে পড়ে সেই কথাও সাধারণ মানুষকে বোঝালেন। যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদেরকে পুলিশ মাক্স পড়িয়ে দেন এবং সাবধান হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুর বলেন- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছেন সমস্ত মানুষ যাতে সচেতন হয়। নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসন কে কড়া হতে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো নতুনহাট বাজারে সাধারণ মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করলাম এবং তাদেরকে করোনার ব্যাপারে সচেতন করা হলো। মঙ্গলকোটবাসীর কাছে বিধায়ক হিসেবে একটাই অনুরোধ আপনারা সরকারি নির্দেশিকা পালন করুন এবং মাস্ক পড়ে বাইরে বের হন ।
মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জ্জী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে মঙ্গলকোট থানার পক্ষ থেকে সমগ্র মঙ্গলকোট থানার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে মাইকিং করে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে ।’ সাধারণ মানুষ নিজে সচেতন হলে তবেই এই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন বলে তিনি সাধারণ মানুষকে বোঝান।।