দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জানুয়ারী : এক দু’দিনের জন্য নয়,সাতদিনের জন্য বসেছে মেলা । বসেছে দোকানপাট । চলছে পঞ্চরসের গান,অর্কেস্ট্রাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । স্বভাবতই ভিড়ও হচ্ছে খুব । পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভাল্কি অঞ্চলের রাণীগঞ্জ গ্রামের খেলার মাঠে বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘দাতা মিলন মেলা’র আয়োজন ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । শোনা যাচ্ছে এই মেলার আয়োজকদের তালিকায় রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম । করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে মেলার আয়োজন করা নিয়ে বহু মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন । যদিও মেলা আয়োজনের দায় নিতে চায়নি তৃণমূল ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাণীগঞ্জ গ্রামের খেলার মাঠে । ছিল রক্তদান শিবির । দুঃস্থ মানুষের মধ্যে বিতরন করা হয় নতুন বস্ত্র । সেই সঙ্গে স্থাপন করা হয় দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর । এছাড়া নবাগত অভিনেতা আউশগ্রামের বাসিন্দা সঞ্জুর হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ‘দাতা মিলন মেলা’র । এই মেলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আউশগ্রাম ২ বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন,ব্লক প্রশাসন থেকে কাউকে মেলা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি ।
তাহলে এমন সাহস কাদের হল যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মাঝেই মেলার আয়োজন করে ফেললেন ? তাও আবার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া । যেহেতু এদিন রাণীগঞ্জ গ্রামের খেলার মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, তাই স্বভাবতই শাসকদলের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয়রা জানান,মেলা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছিল । তাতে আয়োজকদের তালিকায় ছিল আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ মির্ধার নাম । যদিও অরূপবাবুর কথায়,’মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা কোভিড বিধি মেনে রক্তদান ও বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান করেছি । মেলা হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু মেলা হয়নি ।’ কিন্তু তৃণমূল নেতা মেলা না হওয়ার কথা বললেও বাস্তব চিত্রটা ছিল ঠিক তার উলটো । এদিন বিকেল থেকেই দেখা যায় গ্রামবাসীরা দল বেঁধে যাচ্ছেন রাণীগঞ্জ গ্রামের খেলার মাঠের দিকে ।।