দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৪ জানুয়ারী : মুরগি চোর সন্দেহে দুই বধুকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল তাঁদের এক কাকাশ্বশুর ও কাকাশ্বশুরের ছেলের বিরুদ্ধে । দুই বধূকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সম্পর্কিত শাশুড়িও । ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মোহনপুর গ্রামের । মঙ্গলবার আক্রান্ত দুই বধু ভ্রমরা বেগম, মঞ্জিলা বেগম ও তাঁদের সম্পর্কিত শাশুড়ি মমতাজ বিবি ভাতার থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন । দুই বধু মিলে তাঁদের কাকাশ্বশুর শেখ বক্কর ও তাঁর ছেলে শেখ নিয়াজুলের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন । পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
জানা গেছে,ভাতারের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা ভ্রমরা বেগম, মঞ্জিলা বেগমের স্বামী শেখ ইবু ও শেখ রাজুরা দুই ভাই । তাঁরা খড় কেনাবেচার ব্যাবসা করেন । ব্যাবসার কারনে অধিকাংশ সময় তাঁদের বাড়ির বাইরেই কাটাতে হয় । দুই জা ও মঞ্জিলার দুই নাবালক সন্তান বাড়িতে থাকে। অন্যদিকে কিছুটা পাশেই বাড়ি পেশায় পোলট্রি মুরগির ব্যাবসায়ী শেখ বক্করদের । বাড়ির অদূরেই তাঁর পোলট্রি মুর্গীর ফার্ম রয়েছে । এছাড়া দোতলা মাটির বাড়ির উপরতলার ঘরেও মুরগি রেখে দেন ওই ব্যক্তি । সোমবার কোনওভাবে উপরতলার ঘরের জানালার ফাঁক গলে একটি মুরগি বধুদের বাড়ির সামনে গিয়ে পড়ে । আর তা থেকেই ঘটনার সুত্রপাত ।
মঞ্জিলা বেগম বলেন,’ওই মুরগিটি শেখ বক্করদের বাড়ির দোতলার ঘরের জানালার ফাঁক গলে পালিয়ে এসে আমাদের বাড়ির সামনে চড়ছিল । সেটা দেখে ওদের সন্দেহ হয় আমরা ওই মুরগি চুরি করেছি। আর এই সন্দেহের কারনে ওরা প্রথমে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে । আমরা প্রতিবাদ করলে কাকাশ্বশুর শেখ বক্কর ও তাঁর ছেলে শেখ নিয়াজুল বাড়িতে চড়াও হয়ে আমাদের মারধর করে। আমার কাকি শাশুড়ি মমতাজ বিবি আমাদের বাঁচাতে এলে তাঁদেও ফেলে বেদম পেটায় । তাঁর কান কেটে দেয় । তাই কাকাশ্বশুর ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি ।’।