প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ জানুয়ারি : কেন্দ্রের ব্যাংক মার্জারের সিদ্ধান্তের দরুন এলাহাদাদ ব্যাঙ্ক মিশে গিছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সাথে ।আর দুই ব্যাঙ্ক মার্জার হতেই গায়েব হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভান্ডারডিহির বহু মানুষের এ্যাকাউন্টে থাকা টাকা। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে ভান্ডারডিহির ব্যাঙ্ক গ্রাহক মহলে ।বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সোমবার দফায় দফায় ব্যাঙ্কে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের লেনদেন বন্ধ করেদেন । খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে এদিনের মত পরিস্থিতি স্বাভারিক হয় ।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন,ভান্ডারডিহির গঞ্জে ছিল এলাহাবাদ ব্যাংকের একটি শাখা । গ্রামের বহু মানুষ সেখানেই লেনদেন করতেন । কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে কিছুদিন আগে ওই ব্যাংকটি মিশে যায় ইন্ডিয়ান ব্যাংকের সাথে । তার পরেই গরিব মানুষজন ও চাষিরা দেখতে পান গায়েব হয়ে গিয়েছে তাঁদের এ্যাকাউন্টে থাকা টাকা । এই ঘটনার কারণে সবার মাথায় হাত পড়ে যায় । গ্ৰাহকদের পাশ বুকও আপডেট হয়নি । সেই কারেই এলাকার গ্রাহকরা এদিন দফায় দফায় ওই ব্যাঙ্ক শাখায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান । ব্যাঙ্কের লেনদেনও বন্ধ করে দেয় । এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে ট্রন্সফার করে নেওয়ার কাজ চলছিল সিএসপিও ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মদতে ।
গ্রাহকরা অভিযোগে বলেন,’তাঁরা জানতে পারলেনই না তারই মধ্যে কখন তাঁদের এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হল । এমনকি বন্ধকী আমানতের টাকা মাচুরিটি হলেও তার টাকা মেলেনি । গ্রাহক মুক্তিপদ হাজরা বলেন,’আমার ১ লাখ টাকা আটকে গেছে । টাকার অভাবে এখন আমি জ্যাঠার চিকিৎসা করাতে পারছি না ।’অপর গ্রাহক রেখা হাজরা জানান,তিনি তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা তুলতে চান অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসার জন্য । কিন্তু জুতোর শুখতলা খুইয়ে ফেলেও টাকা পাচ্ছেন না বলে তিনি অভিযোগ করেন । সুব্রত খাঁ নামে এক গ্রাহক বলেন,’উইথড্রয়াল শ্লিপে আমাকে সই করিয়ে অন্য লোক টাকা নিয়ে গেছে ।’ গ্রাহকদের এইসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে অস্বীকার করেন ।।