প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ জানুয়ারি : বালি খাদানের দখল নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হল এক তৃণমূল কর্মী। জখম ওই তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ পান্নালাল ওরফে ফটিক। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ইদিলপুর এলাকায় । এই ঘটনা নিয়ে এদিন সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা ।খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন,ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আগ্নেয়াস্ত্র কি ভাবে এল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এলাকার বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকালে।ওইদিন বর্ধমানের সদরঘাট এলাকায় পিকনিক করতে গিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কয়েকজনের মধ্যস্থতায় তখনকার মত অশান্তি মিটে গেলেও রবিবার সকালে ফের অশান্তি বাঁধে । অভিযোগ শেখ ফটিক এদিন সকালে বালিখাদে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় । এমনকি বিরুদ্ধ গোষ্ঠির সুনীল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি তাঁকে লক্ষকরে গুলি চালায়। বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ফটিক জানিয়েছে, গুলি তাঁর পায়ে লাগে ।ফটিককে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান হাসপাতালে ।এলাকায় দখলদারি কায়েম করতেই ছেলে ফটিকের উপরে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মা মদিনা বিবি। যদিও তিনি এই ঘটনাকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলে মানতে চান নি । মদিনা বিবি দাবি করেছেন,যারা তাঁর ছেলেকে লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে তারা বিজেপির লোক ।
ঘটনার পর স্থানীয় বালি ব্যবসায়ী রাজনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন,শেখ ফটিক রবিবার সকালে দলবল নিয়ে তার ভাই অরুন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা করে।এমনকি তাঁর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। বাড়িতে থাকা একটি মোটর সাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় । রাজনাথ চৌধুরী দাবি করেন হামলা চালানোর সময়ে শেখ ফটিক তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষভ্রষ্ট হয় । তবে পান্নালাল কিভাবে গুলিবিদ্ধ হল সেবিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে রাজনাথ চৌধুরী।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ যাই থাক বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বেশ কয়েকজনকে আটক করা করেছে। উত্তেজনা থাকায় এলাকাজুড়ে চলছে পুলিশি টহলদারি ।।