প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ ডিসেম্বর : বিধায়ক পদে থাকুন বা না থাকুন সর্বদাই তিনি থাকেন রণংদেহী ভাবমূর্তি নিয়েই । তার কারণে জনমানসে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হলেও তার পরোয়া করেন না পূর্ব বর্ধমানের মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক নার্গিস বেগম । বিধানসভার ভিতরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিধায়ককে কুকথা বলা কিংবা থানায় ঢুকে পুলিশ আধিকারিকদের চমকানো সবেতেই তিনি সিদ্ধহস্ত । এবার সেই নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে বর্ধমানের পীরবাহারাম এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি তৈরির কাজে যুক্ত রাজমিস্ত্রিদের মারধরের অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয় পড়ে । খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
প্রাক্তন বিধায়কের এমন আচরণের নিন্দায় সরব হয়েছেন বর্ধমানের পীরবাহারাম এলাকার সকল তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক ।
বর্ধমান শহরের পীরবাহারাম ডাঙাপাড়া এলাকায় বাড়ি তৃণমূল কর্মী সেখ আনোয়ারের । তাঁর বাড়ির পাশেই রয়েছে মেমারির প্রাক্তন বিধায়ক নার্গিস বেগমের বাড়ি।সেখ আনোয়ার এদিন জানান ,তাঁর বসত বাড়ির অবস্থা খারাপ থাকায় তিনি সরকারের কাছে একটি পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করেন । সেই আবেদন মঞ্জুর হয় ।কয়েকদিন ধরে তাঁর পাকা বাড়ি তৈরির কাজ চলছে । আনোয়ার বাবু বলেন ,“নার্গিস বেগমের বাড়ির জানালার সোজা আমার বাড়ির জানালা হচ্ছে । এমন অভিযোগ তুলে নার্গিস বেগম এদিন আমার বাড়িতো কর্মরত রাজমিস্ত্রীদের উপর চড়াও হয় । ইট নিয়ে রাজমিস্ত্রিদের উপর হামলা চালায় ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ পৌছায় সেখ আনোয়ারের আরও অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাক্তন বিধায়কের কথায় উল্টে তাঁদেরই শাসায়। এনকি তাঁদের কোনো কথাই পুলিশ শুনতে চায়নি বলে আনোয়ারবাবু অভিযোগ করেছেন।যদিও এই বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন নার্গিস বেগম।
এলাকার তৃণমূল নেতা সেখ ভীম জানান, নার্গিস বেগম ও তার পরিবারের সদস্যারা মিলে রাজমিস্ত্রীদের মারধর করেছেন । যার বাড়িতে কাজ হচ্ছিল সেও একজন তৃণমূল কর্মী। নার্গিস বেগম যে ঘটনা ঘটালেন সেটা সত্যি লজ্জার বিষয়। দলের প্রাক্তন বিধায়কয়ের এমন আচরণের প্রতিবাদ করেন এলাকার লোকজনও । তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ‘ঠিক কি হয়েছে জানি না।খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে । তবে আইনের উর্ধে কেউ নন । সবাইকেই নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে । দলের নেতা নেত্রী বলে আইন আলাদা হবে না ।’।