এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২৬ ডিসেম্বর : আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিল তালিবান ৷ ইন্ডিপেনডেন্স ইলেকশন কমিশন (আইইসি) এবং ইন্ডিপেনডেন্স ইলেকটোর্যাল কমপ্লায়েন্ট কমিশনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তালিবান সরকারের মুখপাত্র বিলাল করিমি (Bilal Karimi) বলেন,’এই কমিশনগুলির অস্তিত্ব ও পরিচালনার কোনো প্রয়োজন নেই । যদি আমরা কখনও প্রয়োজন অনুভব করি তাহলে ইসলামী আমিরাত এই কমিশনগুলোকে ফের পুনরুজ্জীবিত করবে ।’ তবে তাঁর এই আশ্বাসে সন্দিহান আফগানিস্তানের নাগরিকরা । তালিবানি শাসনকালে আফগানিস্তানের নাগরিকদের ভোটাধিকার ও গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা ফের ফিরে আসা অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।
ইসলামিক রিপাবলিক অফ আফগানিস্তানের শেষ রাষ্ট্রপতি আসরফ গনির শাসনকালে ইন্ডিপেনডেন্স ইলেকশন কমিশন (আইইসি) এবং ইন্ডিপেনডেন্স ইলেকটোর্যাল কমপ্লায়েন্ট কমিশন গঠন করা হয়েছিল । ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আইইসিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন পরিচালনা ও তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু গত আগস্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরই অস্ত্রের জোরে দেশের ক্ষমতা দখল করে কট্টরপন্থী তালিবানরা । তারপর থেকে তারা আফগানিস্তানের শাসন ব্যাবস্থায় আমূল পরিবর্তন করতে শুরু করে ।
একের পর এক সরকারি কর্মী ও সেনা ও পুলিশ বাহিনীর আধিকারিকদের টার্গেট করে খুন করতে শুরু করে তালিবানরা । তবে তার আগেই নির্বাচন কমিশনের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে চরমপন্থী গোষ্ঠীর হাতে খুন হতে হয়েছিল । ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর এবার আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশনই ভেঙে দিল তালিবানরা । শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, তালিবানরা শান্তি মন্ত্রণালয়(Ministry of Peace)এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (Ministry of Parliamentary Affairs)-এর অস্তিত্বও বিলুপ্ত করে দিয়েছে । বন্ধ করে দিয়েছে প্রাক্তন প্রশাসনের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রকও (Ministry of Women’s Affairs) । পরিবর্তে সেটিকে সদগুণ প্রচার ও অসদাচরণ প্রতিরোধ মন্ত্রকে (Ministry for the Promotion of Virtue and Prevention of Vice) প্রতিস্থাপিত করেছে ।
এই বিষয়ে আফগানিস্তানের প্রবীণ রাজনীতিবিদ হালিম ফিদাই বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায় তালিবানরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না । তারা সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে । তারা বুলেটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে । ব্যালটে নয় ।’ উল্লেখ্য,বিগত দুই দশক ধরে চারটি প্রদেশের গভর্নর ছিলেন হালিম ফিদাই ।।