এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়,১৩ ডিসেম্বর: শ্মশনঘাটের আধপোড়া কাঠ ও শ্মশানে পড়ে থাকা দড়ি দিয়ে কাটোয়ার পাগলিকালীর মন্ডপ বাঁধতে হয়।আর এই কালী পুজোয় এখনও তারাপীঠের সাধক বামাখ্যাপার বংশধরেরাই পুজো করতে আসেন কাটোয়ায়। অর্ধশতাব্দী কাল ধরে এই প্রথা চলে আসছে। রবিবার কাটোয়াবাসী মেতেছেন পাগলিকালীপুজো ঘিরে।
কাটোয়ার পাগলিকালীর পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে এক কাহিনী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাংলার ১৩৭৪ সাল থেকে এই পুজো হয়ে আসছে।স্থানীয়রা জানান অনিল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা ও তারা দাস এই তিনজন ছিলেন বন্ধু। তারা একদিন গঙ্গায় স্নান করছিলেন। স্নান করার সময় জলের স্রোতে ভেসে আসে একটি কালীমুর্তির কাঠামো। তিনজনের গাঘেষে ওই পাটাতন চলে আসে। তারা সেটি সরিয়ে দেন। যাতে নদীর স্রোতে ভেসে চলে যায়। কিন্তু যতবার তারা সরানোর টেষ্টা করেন ততবারই তাদের কাছে চলে আসে ওই কাঠামো। তখন অনিলবাবু ওই পাটাতনটি তুলে নদীর পাড়ে রেখে দেন। তারপর তিনজনেই বাড়ি চলে যান। জনশ্রুতি, ওই রাতেই অনিল দাসের স্বপ্নাদেশ হয়। তারপর থেকে পুজো শুরু হয় কালীর। এই কালীর নামকরন হয় পাগলিকালী।
স্বপ্নাদেশের পরেরদিন তিনবন্ধু মিলে তারাপীঠে চলে যান। সেখানে গিয়ে তারা সাধক বামাক্ষ্যাপার উত্তরসুরি উমাপদ রায়ের সঙ্গে দেখা করে সব ঘটনা বলেন। তাদের মুখ থেকে শুনে উমাপদবাবুই তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই কাঠামোতেই কালীপুজো করতে। সেই থেকে বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরাই এই পুজোর পুরোহিত।কালীপুজোর অমাবস্যার পরের অমাবস্যায় প্রতিবছর এই পূজো হয়